বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডারদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছে কর্মচারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ১৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা থাকলেও ওষুধ সরবরাহ বন্ধসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে তারা। এ সময় আশপাশের রোগীরা ক্লিনিকে এসে ওষুধ না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হন। এর আগে একই দাবিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করে কর্মচারীরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি রাসেল কবির ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে সারাদেশের সকল সহকর্মীরা একযোগে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহাখালীতে অবস্থিত কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প কার্যালয় ভবন চত্বরে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
চাকরি স্থায়ীকরণ ও ট্রাস্ট আইন বাতিলের দাবি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : মির্জাপুরে চাকরি স্থায়ীকরণ ও ট্রাস্ট আইন বাতিলের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কমিউনিটি হেলথ কেয়ারগুলোকে রাজস্ব খাত থেকে একটি ট্রাস্ট আইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিএইচসিপির সদস্যরা জানান, মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। জাতীয় বেতন কাঠামোয় সবার বেতন বাড়লেও তাদের বেতন বৃদ্ধি না করে ১৪নং গ্রেডেই রাখাতে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এছাড়া কয়েক মাস পর পর তাদের বেতন দেয়া হয়। তাছাড়া গত চার বছরের ইনক্রিমেন্ট এর টাকাও তারা পাননি। তাদের চাকরি প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নেয়ার কথা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে সরকার দেশে ওমাট ১৩ হাজার ৬৮১টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে। সরকার পরিবর্তনের পর ২০০১ সালে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০০৮ সালে কমিউিনিটি ক্লিনিকগুলো ফের চালু হলে আশার আলো দেখেন তারা। সে সময় কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডারদের নিয়োগ দেয়া হয়। তখন থেকে তারা সীমিত সুযোগ-সুবিধার পরও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে দেশে মা ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. তৌফিকুর রহমানের সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেন, সিএইচসিপিরা চাকরি স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হাসপাতাল উদ্বোধন
মির্জাপুরে আধুনিক চিকিৎসা সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করল বংশাই ডিজিটাল হাসপাতাল (প্রা.) নামে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরসভার বংশাই রোডের সালেহা সুপার মার্কেট ভবনে অবস্থিত হাসপাতালটির উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারি, মির্জাপুর উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, বংশাই ডিজিটাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন অর রশিদ সিদ্দিকী, মাওলানা ইউসূফ হোসাইন ও মাওলানা ফরিদ হোসাইন। পরে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন