সীমান্তবর্তী শেরপুরের গারো পাহাড় ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীতে গত ক’দিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। দিনের বেলায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকলেও বিকেল থেকে কমতে শুরু করে। রাতে তাপমাত্রা কমতেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় গোটা গারো পাহাড়। পাশাপাশি হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়েও দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আগামী কয়েকদিনে গারো পাহাড়ে রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে অনুমান করছেন ঝিনাইগাতীর প্রবীণ ডা. আব্দুল বারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, আলহাজ রেজায়ুর রহমান মাস্টার, আলহাজ শরীফ উদ্দিন সরকার ও সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল এবং আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা শহরগুলোতে শীত কম অনুভূত হলেও গারো পাহাড়ের গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সেই সাথে ব্যাঘাত ঘটেছে জনবসতির কোলাহলে। ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেসা গারো পাহাড় সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে খুব বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পাহাড়ীরা। তারা বলেন, তাপমাত্রা প্রতিদিন কমছে। ফলে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শেষ দিকে আরও কমে আসবে তাপমাত্রা। এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ভিড় বাড়ছে গরম কাপড়ের দোকানে। শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণি বিতানগুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ ভিড় করছেন ফুটপাতে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, সরকারিভাবে সাড়ে ৩ হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানদেও মাঝে বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন