রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা : রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনের ত্রুটির কারণে সাধারণ কর্মচারীরা ৫ মাস ধরে এরিয়া বিল বেতন-ভাতাসহ নতুন পে-স্কেলের বিল বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টিএইচ ডাঃ ইয়াকুব মড়ল ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিল। অজ্ঞাত কারণে ছুটি অবস্থায় তার স্ট্যান্ড রিলিজ অর্ডার হয় সুনামগঞ্জ জেলার সালদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরই মধ্যে নতুন টিএইচ ডাঃ মিছবাহউদ্দীন আহম্মেদ চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বদলী হয়ে ৭ জানুয়ারী রাণীশংকৈল হাসপাতালে চাকরিতে জয়েন্ট করেন। কর্মস্থলে ৩ দিন থাকার পর তিনি ছুটি নিয়ে বাড়ী চলে যান। সপ্তাহখানেক পর কর্মস্থলে এসে জানুয়ারী মাসের বিলে সই করে বাড়ীতে চলে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অন্তর্দ্বন্দ্বে সাফার করছে সাধারণ কর্মচারীরা। টিএইচ ডাঃ ইয়াকুরব মড়ল ছুটি থাকা অবস্থায় তার স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়ায় তিনি কাউকে চার্জ বুঝিয়ে দেননি। এদিকে নতুন টিএইচ ডাঃ মিছবাহউদ্দীন আহম্মেদ চার্জ বুঝে না পাওয়ায় কর্মচারীদের বকেয়া বিল বেতনে সই করছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ত্রুটির কারণে সাধারণ কর্মচারীরা ৫ মাস যাবৎ বকেয়া বেতনসহ নতুন পে-স্কেলের বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না বলে হাসপাতাল কর্মচারীদের অভিযোগ। হজবরল অবস্থায় চলছে রাণীশংকৈল হাসপাতাল। এ ব্যাপারে টিএইচ ডাঃ মিছবাহউদ্দীন আহম্মেদ জানান, অফিসিয়াল ত্রুটির কারণে কিছু কর্মচারীর এরিয়া বিলে সই করা হয়নি। তবে আমি ছুটিতে আছি । ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের পর কর্মচারীদের এরিয়া বিলে সই করা হবে। চলতি মাসেই তারা তাদের যাবতীয় বিল বেতন উত্তোলন করতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন