‘যে কারণে আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি বাতিল করা উচিত ছিল’- বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ফরাসি দৈনিক লে’কিপ। ম্যাচ পরিচালক সাইমন মার্চিনিয়াককে পক্ষপাতী বলতেও ছাড় দেয়া হয়নি। সমালোচনার শিকার হয়ে এবার পাল্টা জবাব দিলেন পোলিশ রেফারি।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনাল দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ১২০ মিনিটের ধুন্ধুমার লড়াইয়ের নিষ্পত্তি হয় টাইব্রেকারে। সেখানে ফরাসিদের হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা ঘরে তোলে আলবিসেলেস্তেরা। লে’কিপের দাবি, অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে লিওনেল মেসির তৃতীয় গোলটি বৈধ নয়। কারণ গোলের আগেই আর্জেন্টিনার বেঞ্চে বসা দুই খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল। ১০৮তম মিনিটের ঘটনা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে সজোরে শট নেন লাউতারো মার্টিনেজ। তখন মাঠের অপরপ্রান্তে থাকা আর্জেন্টাইনরা গোল ভেবে বসে।
খুশিতে দু’জন মাঠে ঢুকেও পড়ে। তবে ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস লাউতারোর প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন। যদিও রিবাউন্ডে পরক্ষণেই গোল পান মেসি। তবে গোলের আগেই অতিরিক্ত খেলোয়াড়দের মাঠে প্রবেশ করে নিয়ম ভঙ্গ করায় সেটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে ফরাসিরা। ২ লাখেরও বেশি মানুষ পিটিশনে সই দিয়েছেন।
লিওনেল মেসির গোল বাতিলে ফরাসিদের হাতিয়ার ফিফার একটি ধারা। ফুটবলের ৩ নং আইনের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘গোলের আগে যদি সেই দলের একজন খেলোয়াড়ও মাঠের ভেতরে থাকেন, তবে গোলটি বাতিল করতে বাধ্য হবেন ম্যাচ রেফারি। আর অতিরিক্ত ব্যক্তির মাঠে প্রবেশের স্থান থেকে গোল হজম করা দল ফ্রি-কিক নিয়ে পুনরায় খেলা শুরু করবে।’
বৃটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইমন মার্চিনিয়াকের ভাষ্য, ১২০ মিনিটের খেলায় কিলিয়ান এমবাপ্পের যেকোনো একটি গোলের সময় ফ্রান্সেরও অতিরিক্ত খেলোয়াড় মাঠে ছিল। অর্থাৎ, আর্জেন্টিনার গোল বাতিল করতে হলে অবশ্যই ফ্রান্সেরও করতে হবে। এক সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী মার্চিনিয়াক বলেন, ‘ফ্রান্স এই ছবির কথা (হাতে থাকা ফোনের ছবি বের করে দেখান) একবারও উল্লেখ করছে না। এতে আপনারা দেখতে যাচ্ছেন এমবাপ্পে যখন গোল করেন তখন সাতজন অতিরিক্ত খেলোয়াড় মাঠের মধ্যে ছিলেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন