মোহাম্মদ আবদুল গফুর : এখন ডিসেম্বর মাস চলছে। এবারের ডিসেম্বরে দুটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পর্ব আমরা পাই স্বল্প ব্যবধানে। এর প্রথমটি ১৩ ডিসেম্বর। দ্বিতীয়টি ১৬ ডিসেম্বর। সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, এই দুটি পর্বের মধ্যে রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পর্ক। এমনিতে বলা যায়, ১৩ ডিসেম্বরের সাথে ১৬ ডিসেম্বরের সম্পর্ক তো থাকবেই। ১৩ ডিসেম্বর আসে বলেই তার অল্প পরেই ১৬ ডিসেম্বর আসে স্বাভাবিক গাণিতিক হিসাবে। তার মধ্যে ঐতিহাসিকতার প্রশ্ন না তুললেও চলে।
কিন্তু এবারকার ১৩ আর ১৬ ডিসেম্বর ছিল ঐতিহাসিকতার নিরিখেও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। এবারের ১৩ ডিসেম্বর ছিল বারই রবিউল আউয়াল অর্থাৎ ঈদে মিলাদুন্নবী। আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত বার্ষিকী হিসেবে এই দিনটি আমাদের দেশে পালিত হয় একটি মহাপবিত্র গুরুত্বপূর্ণ দিবস হিসেবে। অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর ছিল বিজয় দিবস। ১৭৫৭ সালে সা¤্রাজ্যবাদী ইংরেজদের সাথে এদেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক নেতার গোপন আঁতাতের ফলে পলাশীতে আমাদের স্বাধীনতা সূর্য অস্ত যাওয়ার পরপরই শুরু হয় স্বাধীনতা ফিরে পাবার যেসংগ্রাম। সেই দীর্ঘ সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় আসে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সেই নিরিখে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় ইতিহাসে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
এখন প্রশ্ন জাগে, বারই রবিউল আউয়াল অর্থাৎ শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত বার্ষিকীর স্মারক দিবস হিসেবে আমরা যে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করি, তার সাথে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের স্মারক হিসেবে বিজয় দিবসের কোনো ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে কি? ইতিহাসের সূক্ষ্ম গবেষকদের ধারণা আমাদের জাতীয় জীবনের এই দুটি দিবসের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। এত গভীর ঐতিহাসিক পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে যে, একটি ছাড়া আরেকটির অস্তিত্ব কল্পনা করাও সম্ভবপর না।
কীভাবে? ধরে নেয়া যাক, বাংলাদেশ নামের ভূখ-ে বিশ্বনবী (সা.)-এর প্রচারিত আদর্শ ইসলামের কোন দিন আগমন হয়নি। তাহলে এদেশের জনগণের ধর্মাদর্শ কী হতো? তাদের ধর্মাদর্শ হতো হিন্দু, বৌদ্ধ অথবাঅন্যান্য ধর্মাদর্শ। সেই অবস্থায় যদি এদেশে শাসক সম্প্রদায় হিসেবে ইংরেজদের আগমন ও বিদায় ঘটত, তাহলে আর যাই হোক, ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব যেভাবে গৃহীত হয় তা সম্ভব হতো কি? হতো না।
কিন্তু এদেশের বাস্তব ইতিহাস সে পথে অগ্রসর হয়নি। এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, বাংলাদেশ বা ভারতীয় উপমহাদেশ ইসলামের জন্মভূমি নয়। যেমন নয় হিন্দু ধর্মেরও জন্মভূমি। তবে ইসলাম-পূর্ব যুগেও বাংলাদেশের সাথে সমুদ্রপথে আরব দেশের বানিজ্যিক যোগাযোগ ছিল।
খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে আরব দেশে রসূলে করিমের (সা.)-এর নেতৃত্বে যে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয় সে বিপ্লবের ঢেউ অচিরেই বঙ্গোপসাগরের উপকূল অঞ্চলে এসে লাগে। আরব বণিকদের সাথে আসা ইসলাম প্রচারকদের মাধ্যমে ইসলামের সাম্য ভ্রাতৃত্বের সে বিপ্লবী বাণী এদেশের জাতিভেদ লাঞ্ছিত জনগণের কাছে মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে প্রতিভাত হয়। আরব দেশ থেকে এদেশে আসা প্রথম দিকের এসব ইসলাম প্রচারকের জীবনে সাম্য-ভ্রাতৃত্বের আদর্শের উজ্জ্বল প্রতিফলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের জাতিভেদ লাঞ্ছিত মুক্তিকামী জনগণ দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করেন। ফলে পরবর্তীকালে বখতিয়ার খিলজীর আমলে এদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার বহু আগেই এদেশের বহু অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বহু মুসলিম জনপদ গড়ে ওঠে।
যারা বলে বেড়ান ভারতবর্ষে ইসলাম তরবারির জোরে প্রচারিত হয়েছে তাদের বক্তব্য যে সত্যের অপলাপ মাত্র তার প্রমাণ উপমহাদেশের দিল্লি, আগ্রা, উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি যেসব অঞ্চলে মুসলমান শাসন সবচয়ে বেশি দিন স্থায়ী ছিল সেসব অঞ্চলে মুসলমানরা অদ্যাবধি সংখ্যা লঘু রয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশের মতো সেসব অঞ্চলে মুসলমানদের শাসন খুব কম দিন ছিল যেসব অঞ্চলে বিশাল মুসলিম জনপদ গড়ে ওঠে। এর মূলে রয়েছে এসব অঞ্চলে প্রথম যুগের ইসলাম প্রচারক সুফি-দরবেশদের নিঃস্বার্থ প্রচারকার্য এবং তাদের চারিত্রিক আকর্ষণ।
ইতিহাসের নিরিখে বিচার করলে দেখা যাবে, মুসলমানদের সুদীর্ঘ কালের শাসনকেন্দ্র থেকে বহু দূরে অবস্থিত উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশে যে একটি বিশাল মুসলিম জনপদ গড়ে উঠতে পারে ওটা অনেক দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কল্পনায়ই আনতে পারেননি। অথচ ইংরেজ আমলে উপমহাদেশের প্রথম দীর্ঘস্থায়ী মুসলিম রাজনৈতিক সংগঠন নিখিল ভারত মুসলিম লীগের জন্মই হয় ঢাকায় ১৯০৬ সালে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে। যে সম্মেলনে মুসলিম লীগের জন্ম হয় সেখানে যোগ দেয়ার জন্য মুসলিম লীগের পরবর্তীকালের একচ্ছত্র নেতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি এ সম্মেলনে যোগদানের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এ যুক্তি দেখিয়ে যে, এর ফলে কংগ্রেসের সাথে অনাকাক্সিক্ষত সংঘাত সূচিত হবে, যা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। তখন পর্যন্ত জিন্নাহ সাহেব হিন্দু-মুসলমান মিলনের অবাস্তব স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, উপমহাদেশের মুসলমানদের মুক্তির লক্ষে আজকের পাকিস্তান অঞ্চলের নেতাদের তুলনায় বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের অবদান চিরকালই ছিল বেশি। বাংলাদেশের ঢাকায় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠা হয় নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে। শুধু তাই নয়, ১৯৪০ সালে যে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবকে পাকিস্তান আন্দোলনের ভিত্তি বিবেচনা করা হয় তার উত্থাপকও ছিলেন বাঙালি মুসলমানদের তদানীন্তন অবিসংবাদিত নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক। অন্যদিকে পাকিস্তান ইস্যুতে অনুষ্ঠিত ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া সমগ্র উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ মন্ত্রিসভাই পাকিস্তান ইস্যুতে কায়েদে আজম জিন্নাহর হাতকে শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়। ওই নির্বাচনে আজকের পাকিস্তানের কোনো প্রদেশেই মুসলিম লীগ বিজয়ী হয়ে মন্ত্রিসভা গঠনে সক্ষম হয়নি।
অথচ ১৯০৬ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ পরবর্তীকালে উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য যে স্বতন্ত্র স্বাধীন আবাস ভূমির জন্য সংগ্রাম চালাচ্ছিল বাংলাদেশকে তার অন্তর্ভুক্ত করার কথা কল্পনা করতেও পারেননি আল্লামা ইকবালের মতো মনীষী নেতাও। ১৯৩০ সালে মুসলিম লীগের এলাহাবাদ অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে তিনি শুধু আজকের পাকিস্তান অঞ্চলকে নিয়ে উপমহাদেশের মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র স্বাধীন আবাসভূমির দাবি উত্থাপন করেন। স্বাধীনতার দাবির যৌক্তিকতা সম্ভবত তিনি প্রথম খুঁজে পান তিরিশের দশকের শেষ দিকে কায়েদে আজম জিন্নাহ ও তাঁর মধ্যে পত্রালাপের মধ্যে।
আজকের এ নিবন্ধ আমরা শুরু করেছি এ বছরের ডিসেম্বর মাসের জাতীয় গুরুত্বের দাবিদার দুটি দিন নিয়ে। এ দুটি দিন ছিল ১৩ ডিসেম্বর ও ১৬ ডিসেম্বর। গাণিতিক বিচারে যেমন ১৩ ডিসেম্বরের আগে ১৬ ডিসেম্বর আসতে পারে না তেমনি ১৩ ডিসেম্বর না এলে ১৬ ডিসেম্বর আসতে পারে না। এ তো গেল গাণিতিক বিচারের কথা। কিন্তু ইতিহাসের নিরিখে বিচার করলেও দেখা যাবে এবারের ১৩ ডিসেম্বরের কাছে ১৬ ডিসেম্বর অনেক ঋণী। ১৩ ডিসেম্বর এবার ছিল ১২ রবিউল আউয়াল। ১২ রবিউল আউয়ালকে যদি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে আমরা ইসলামের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করি এবং বিজয় দিবসকে আমরা স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। তবে মানতে হয় আমাদের স্বাধীনতার মূলে রয়েছে ইসলামের ঐতিহাসিক অবদান।
উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ ভূখন্ডে যদি কোনো দিন ইসলামের আগমন না ঘটত এবং তার ফলে যদি এতদঞ্চলে একটা বিশাল মুসলিম জনপদ গড়ে না উঠত তা হলে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ঐতিহাসিক লাহোর অধিবেশন উপমহাদেশকে বিভক্ত করে উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাসমূহে একাধিক স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রস্তাব তোলাই সম্ভব হতো না। এই লাহোর প্রস্তাব ছিল কঠোরভাবে বাস্তবতার ভিত্তিক। এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করে ১৯৪৬ সালের মুসলিম লীগের দিল্লি সম্মেলনে লাহোর প্রস্তাবের একাধিকের পরিবর্তে একটি (পাকিস্তান) রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়।
দেড় হাজার মাইলের ব্যবধানে ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন দুটি ভূখ- নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠনের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে প্রায় দেখাই যায় না। ফলে যা হওয়ার তাই শেষ পর্যন্ত ঘটল। শুরু হলো ভুল বোঝাবুঝি জনিত সংঘাত। সমগ্র পাকিস্তানের শতকরা ৫৬ জনসংখ্যার মাতৃভাষা বাংলাকে অস্বীকার করে উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা চালানো হলো উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে উর্দুভাষীদের সংখ্যাধিক্যের বদৌলতে। সাতচল্লিশে পূর্বাঞ্চলের জনগণের সংখ্যাধিক্য সত্ত্বেও পাকিস্তানের রাজধানী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ সকল ক্ষমতার কেন্দ্র স্থাপিত হলো পশ্চিম পাকিস্তানে। পাকিস্তান অর্জিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের রায়ের ভিত্তিতে। অর্থাৎ গণতন্ত্রের ভিত্তিতে। অথচ পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্র হলো অবলুপ্ত। প্রথমে ক্ষমতালোভী বেসামরিক আমলা, পরে সামরিক আমলাদের কুক্ষিগত হয়ে গেল শাসন ব্যবস্থা। মুখে ইসলামের বুলি, বাস্তবে ইসলামের কাঙ্খিত শুরাভিত্তিক তথা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তে আমলাতন্ত্র রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতা ও সামরিক বাহিনীর শাসন হয়ে উঠল করুণ বাস্তবতা। এই প্রেক্ষাপটে পূর্বাঞ্চলে প্রথমে স্বায়ত্তশাসন ও পরে স্বাধিকার আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠল। জনগণের এই স্বাধিকার চেতনাকে পশু বলে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তান বাহিনী নৃশংস অভিযান শুরু করে দেয়ার ফলে জনগণ জান কবুল করে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৯ মাসের মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে একপর্যায়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের সাহায্য দিতে এগিয়ে আসে। তবে তাদের এ সাহায্যদানের ব্যাপারটা যে কোনো মতেই আন্তরিক ছিল না, তা দেশের নেতৃবৃন্দের বুঝতে বিলম্ব হয়নি মুজিবনগর সরকারকে এক অসম চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে। বর্তমানে একদিকে চেষ্টা চলছে বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তাকে জোরদার করতে, অন্যদিকে কিছু সুবিধাবাদী নেতৃত্বের মাধ্যমে সা¤্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী অপশক্তির দৌরাত্ম জোরদার করার চেষ্টা এগিয়ে চলছে। পাশাপাশি চলছে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভিত্তি ইসলামকে দুর্বল করে দিতে। এ পরিস্থিতিতে জনগণকে অত্যন্ত সচেতন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীন, সার্বভৌম সত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এ কথাও এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গেলে চলবে না যে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তা একান্তভাবেই দেশে ইসলামী শক্তির জোরদার হওয়ার ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তা ঐতিহাসিকভাবেই ইসলামের ওপর নির্ভরশীল বলে ইসলামকে অবহেলা বা অবমূল্যায়ন করে কখনও বাংলাদেশের স্বতন্ত্র স্বাধীন রাষ্ট্রসত্তাকে জোরদার করার কথা কল্পনা করাও সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন