ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের ১০৫ কিলোমিটার সড়ক এলাকাতেই অবাধে চলছে তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন। হাইওয়ে পুলিশের অভিযানেও থেমে নেই এসব যানবাহনের চলাচল। ধড়পাকড় থেমে গেলে আবার এসব যানবাহন মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়ায়। হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মহাসড়কে তিন চাকার ইঞ্জিনচালিত ও ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, মিশুকসহ এ ধরণের অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও হাইওয়েতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব যানবাহন চলছে। প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে এসব বাহন আটক করে ডাম্পিং করার পরও থামছে না চলাচল।
আইনের তোয়াক্কা না করেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে প্রায় অবাধে চলছে তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহন। যাত্রী বহন করে বড় গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়ক। এসব বাহনের কারণে মহাসড়কে দ্রুতগতির বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং এতে করে তিন চাকার যানবাহনগুলো মহাসড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে কয়েকগুণ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহাসড়কের ১০৫ কিলোমিটার অংশ রয়েছে কুমিল্লাজুড়ে। এর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি এলাকায়ই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইঞ্জিনচালিত থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মিশুক মোটরচালিত অটোরিকশা। গত শুক্রবার মহাসড়কের দাউদকান্দি এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের অভিযানে তিন চাকার ৪৪টি ইজিবাইক ও ৬টি ইঞ্জিনচালিত অটোরিকশা আটক করা হলেও গতকাল রোববার মহাসড়কের দাউদকান্দি, গৌরিপুর, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুর, বলদাখাল, শহীদনগর, নাজিরাবাজার, নিমসার, সুয়াগঞ্জবাজার, মিয়াবাজার, চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকার মহাসড়কে ফের তিন চাকার বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করতে ও এসব স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা-দাউদকান্দি রুটে চলাচলকারী একতা পরিবহনের চালক শাহআলম জানান, মহাসড়কে দ্রুতগতির গাড়ি নিয়ে আমরা একটি নিয়মে চলি। কিন্তু তিন চাকার চালকদের অদক্ষ, ধীরগতি, ভারসাম্যহীনতা মহাসড়কে চলা ঝুঁকিপূর্ণ। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ খুব জরুরি, আইনের বাস্তবায়ন কঠোর হওয়া দরকার।
কুমিল্লা-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী আবরু আবেদীন জানান, তিনি প্রায়ই এ রুটে চলাচল করেন। মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহনের সঙ্গে কম গতির তিন চাকার যানবাহন বিপজ্জনক। এসব বাহনের চালকরা গরিব, জীবিকার প্রয়োজনে বাহন চালায়। কিন্তু মহাসড়কে নেমে নিজের এবং যাত্রীদের জীবন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া যায় না। এসব বাহনের চালকদের সচেতন করা গেলে মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল অনেকাংশে কমে আসবে।
এ প্রসঙ্গে চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ এস.এম. লোকমান হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, এসব তিন চাকার যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চলে। প্রতিদিনই অনেক মামলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে তৎপর রয়েছেন। তবে কোথাও কোথাও পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলাচল করলেও চোখে পড়লেই তিন চাকার যানবাহনকে মহাসড়কে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া যেসব এলাকায় অবৈধ স্ট্যান্ড আছে সেগুলো উচ্ছেদেও আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন