ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে, কিন্তু গিয়ে পড়লেন পুলিশের হাতে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বাবা-ছেলে গতকাল রোববার বড়দিনের রাতে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরে ভাঙচুর চালান। ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের এক বারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাউন্সার থেকে শুরু করে কর্মী সবাইকেই মেরে ধরাশায়ী করেন বাবা-ছেলে। পরে পুলিশ এসে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, রোববার রাতে পার্কস্ট্রিটে উৎসবে মেতেছে মানুষ। চিকিৎসা করাতে আসা বাবা-ছেলেও সে উৎসবে গা ভাসান। রাত ১০টার দিকে বাবা-ছেলে ঢোকেন নিউ মার্কেট চত্বরের ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি বারে। কিন্তু মদ্যপানের পর মত্ত হয়ে বারের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন তারা। পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বারের কর্মী সুজিত বক্সী।
পুলিশকে সুজিত জানিয়েছেন, মদ্যপ বাবা-ছেলে তাকে ধাক্কা দেন, বারের অন্য কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। পরে বারের নিরাপত্তা রক্ষী তাদের থামাতে এলে তাদেরও এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুষি চালিয়ে জখম করেন ওই বাবা-ছেল। এই ঘটনায় আহত হন সুজিত ও বারের আরেক কর্মী শঙ্কর রুদ্র। তাদের দুজনকেই এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায়, চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয় তাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে আসা ওই বাবা-ছেলের নাম সেরাজুল খান এবং নাফিউ খান। তাদের বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীর মুন্নুনগরে। বারের কর্মী সুজিতের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের পরিবারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকেও একটি ই-মেল পাঠিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন