আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সার্বক্ষণিক লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াই সংগ্রাম আমাদের চলবে।
আজ শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা সব সময় লড়াই করে আসছি। প্রতিনিয়ত, প্রতিক্ষণ আমরা লড়াই করছি। এদের মূল উপড়ে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ঘিরে আজ শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান গ্রহন করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বিএনপির কর্মসূচি আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করি না। এটা বিএনপির ফাঁকা আওয়াজ। ১০ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত গরুর হাটে গিয়ে সভা করতে হয়েছে। আজও তারা গণমিছিলের ডাক দিয়েছে। ঢাকার মানুষ তাদের পক্ষে নেই। হুংকার দিয়ে মাঠে থাকতে পারবে না। আমরা রাজপথে আছি। জনগণের জান-মাল রক্ষা করার পবিত্র দায়িত্বে আমরা রয়েছি। যদি তারা মিছিলের নামে, সভার নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির জোট কিছু দিন পর পর সাপের মতো চামড়া বাদলায়। সাপ যেমন কিছু দিন পরপর চামড়া বদলায়, বিএনপিরও একই দশা। কোনো সময় ২০ দল হয়, কোনো সময় ২৪ দল হয়, আবার ১২ দল হয়। এখন বলছে ৩৩ দল। এই ৩৩ দলের মধ্যে ৩০ দল খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, বিএনপির গণমিছিল নিয়ে মানুষ আতংকিত। আজ তাদের গণমিছিলে ঢাকা শহরের মানুষ আতংকিত। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করবো।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার ও আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন