কলারোয়ায় এলজিইিডি’র কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্ধ নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় এমপি তাকে বদলির জন্য তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবর ডিও লেটার প্রদান করেছে। জানা গেছে, এলজিইডি’র কম্পিউটার অপারেটর শরিফুজামান উজ্জল কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের মৃত. মাস্টার আলউদ্দীনের জেষ্ঠ্য পুত্র। গত ১৮ এপ্রিল ২০১৭ শরিফ স্ব উপজেলা কলারোয়ায় বদলী হয়ে এসে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে অবৈধ কর্মকাণ্ড শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে তার পুত্র আরিয়নের অভিভাবক (৫ম শ্রেণী) হিসাবে গেল জানুয়ারি ২০২২ সোনাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ দখল করে। তাকে সভাপতি করতে স্থানীয় মেম্বর সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং ক্যাচমেণ্ট এলাকা বর্হিভূত দুইজনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করা হয়। আবার একই বছর একই পুত্র আরিয়নের অভিভাবক (৭ম শ্রেণী) হিসাবে পাশের সোনাবাড়িয়া হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হয়। একই বছর একই পুত্রকে প্রতারণা মূলকভাবে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দেখায়ে দ্ইু ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও গোলযোগ ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় কতিপয় অভিভাবকের অভিযোগে শরিফের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ বাতিল হয়ে যায়। একাধিক হত্যা ও সন্ত্রাসী মামলার আসামি তার চাচাতো ভাই মেম্বর নূরুল ইসলামের সহযোগিতায় এলাকায় শরিফের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে বলে সোনাবাড়িয়া ইউপি’র একটি সূত্র জানায়। এলাকার রফিকুল, আক্তারসহ অনেকে জানায়, এলজিডিইতে চাকরির সুবাদে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে শরিফ বিগত অর্থবছরে এডিপি’তে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির রাস্তা সিসি ঢালাইয়ে ৫০ হাজার টাকা, সোনাবাড়িয়া প্রভাতী সংঘের মেরমত ও আসবাবপত্র সরবরাহে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ব্যক্তি মালিকানার ডিপের ড্রেন নির্মাণে ৭০ হাজার টাকা এবং তার বাড়ির সামনে টাইলসের সুরমা মসজিদে ১ লাখ টাকা বরাদ্ধ করায়। প্রকল্প কমিটি ও ঠিকাদারের উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে শরিফের নেতৃত্বাধীন এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে প্রকল্প বরাদ্ধ নয়ছয় করা হয়েছে বলে তারা জানায়। এঘটনায় একাধিক জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বদলি বাণিজ্যে ওপর মহলের সংগে সুস্পর্ক থাকায় অবৈধভাবে অনেকের ঠিকাদারী কাজ পেতে সহায়তা করে শরিফ সরকারি স্বার্থহানিতে জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। সম্প্রতি একটি কাবাডি খেলায় হামলা করায় এলাকাবাসি শরিফকে বেধড়ক গণধোলাই দেয়। এতে তার নামে মামলা হয়েছে। তবে কম্পিউটার অপারেটর শরিফুজামান বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার অধিকাংশ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাকে হয়রাণী করার জন্য এসব অভিযোগ তোলা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লালটু এডিপি’তে শরিফের চার প্রকল্প বরাদ্ধ নেওয়ার ও প্রতারণা করে প্রাইমারি স্কুলের সভাপতির পদ দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছোট কর্মচারীর বিরুদ্ধে এমপি’র ডিও লেটার বেমানান। কলারোয়া-তালার এমপি এ্যাড মুস্তফা লুৎফুল্যহ বলেন, এলজিইডি’র কম্পিউটার অপারেটর শরিফ স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে বাইরের জেলায় বদলী করতে গত ১৪ নভেম্বর ডিও লেটার দেয়া হয়েছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে এলজিইডি খুলনার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ডিও লেটারের বিষয় খেয়াল নেই উল্লেখ করে বলেন, এমপি সাহেব ডিও প্রদান করে থাকলে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন