কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও মানিককান্দি গ্রামের মো. আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম মোল্লার হত্যায় জড়িত বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করাসহ ফাঁসির দাবি জানান এলাকাবাসী।
গত শুক্রবার বিকালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে উপজেলার মানিককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় এ দাবি জানান বক্তারা। সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নিহত জহিরের পিতা মো. আবুল হোসেন মোল্লা, ডাঃ আল-আমিন, শহরিয়া আলম হীরা, আ. মতিন ভূঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ, শাহআলম সরকার, আকতার আমিন, হযরত আলী মাস্টার, আবু তাহের সরকার, আব্দুল হাসেম ভূঁইয়া, সাবেক মেম্বার সুমন মিয়া, আব্দুল মান্নান মাস্টার, মোস্তফা মিয়া, আব্দুল আজিজ, ডাঃ মো. মোস্তফা, সাবেক মেম্বার ইরন বেপারী, বর্তমান মেম্বার হাজী আব্দুল রব ও নিহতের বড় ভাই মো. বাদল মোল্লা।
বক্তারা বলেন, প্রথমে পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার লোকজনের সাথে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের লোকজনের দাওয়া পাল্টা দাওয়া হয়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। পরে ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাবুল আহমেদ তার দলবল নিয়ে এসে মিমাংসা করে দিবে বলে জহিরকে সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তারা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি ও বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
জহির হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত জহিরুল ইসলাম মোল্লার ছোট ভাই এছহাক মোল্লা বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মনির নামের একজন আসামি পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধী। আরো ২৫ জন আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আশা করি দ্রুত বাকিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ, গত ৬ ডিসেম্বর বিকালে জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন