পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ তন্বী আক্তার (২৪) কে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আটক ৩ আসামিকে গত সোমবার রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত. কুদ্দুস আকনের ছেলে ছগীর (৪২), সাইয়েদ আকনের ছেলে ওমরসানী (২৮) ও সালমার ছেলে সাকিব (২৫) কে আটক করে। সোমবার রিমান্ড চেয়ে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত ছগীরের ১ দিন ও সাকিবের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওমরসানীকে আদালতে সোপর্দ না করে থানা হেফাজতে রেখে দেয়া হয়েছে। নিহত তন্বীর লাশ উদ্ধারের ১০ দিন পরে ছগীর, ওমরসানী ও সাকিব এই ৩ জনকে আটক করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর দিনগত গভীর রাতে তন্বী আক্তারের গলাকাটা লাশ উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের মান্নান আকনের (বুইর্যার বাড়ি) বাগান থেকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের বাবা আ. রাজ্জাক আকন (৭২) গত ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পিরোজপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীমসহ থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআই, র্যাব, সিআইডি পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। ২১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে তন্বী আক্তার নিখোঁজ ছিলো। মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ছগীর ও সাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গত সোমবার দুপুরে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল আজাদ শুনানী শেষে ছগীরের ১ দিন ও সাকিবের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, ছগীর আকন সাংবাদিক কন্যা ঊর্মি হত্যা মামলার একমাত্র চার্জশিটভুক্ত আসামি। ২০১৭ সালের ২১-২৩ জুলাইয়ের কোন এক সময় ঊর্মি (১০) কে নৃশংসভাবে হত্যা করে একই এলাকার পরিত্যাক্ত্য বাগানের নালায় লাশ ফেলে রাখে। ২৩ জুলাই থানা পুলিশ নিহত ঊর্মির অর্ধ গলিত ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ২৩ জুলাই মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন