শীতের শিশির ভেজা সকালে কুয়াশার চাদরে ঘেরা বিষ্ণুপুর বিস্তীর্ণ মাঠ ঢেকে গেছে সরিষার ফুলের চাঁদরে। সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুল শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকিমিকি করছে এক অপরুপ দৃশ্য। যেন প্রকৃতিকন্যা সেজেছে ‘হলুদ বরণ সাজে’। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের চোখ ধাঁধানো সমারোহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে উড়াউড়ি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে।
গত কয়েক বছর ধরে সরিষা চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষ বেড়েছে কৃষকের চলতি মৌসুমে। এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে চাষীরা। এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় বিষ্ণুপুরের কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরিষা চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় সরিষার পাশাপাশি আলু, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের কৃষকরা এই সরিষা যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা মনে করছেন। এদিকে উপজেলার বিষ্ণুপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক, আঃ রাজ্জাক, মোকছেদ আলী, জানান, চলতি মৌসুমে আমি ৫, বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৫/৭ মণ হারে সরিষা উৎপাদন হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিষ্ণুপুর, বন্ধকাটি, পারুলগাছার বিভিন্ন মাঠে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন সরিষা চাষিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন