ঝালকাঠি তীব্র শীতের সাথে বইছে শৈতপ্রবাহ। প্রচন্ড ঠান্ডায় শীতকালীন শাকসবজি ও ফসলে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। এছাড়া পান হলদে হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে। শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় বোরো রোপনে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষকরা।
ঝালকাঠি জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৭২৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করে ১২ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজ রোপন করা হয়েছে। কিন্তু শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। ফলে বেশিরভাগ কৃষক বোরো রোপন কাজ শুরু করেনি। বোরো চাষে বিলম্ব হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে এ বছর ৭ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ও ৮০৫ হেক্টর জমির সরিষা আবাদ করা হয়েছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় শীতকালীন শাক সবজিতে পোকার আক্রমণ বেড়েছে। বর্তমানে ৪৬৮ হেক্টর জমিতে পান রয়েছে। শীতে পান পাতা হলদে হয়ে ঝড়ে যাচ্ছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিমূখে পড়েছেন এ জেলার পান চাষিরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক সবিতা হালদার বলেন, আমাদের গ্রামে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ছে। এতে শীতকালী শাক সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
নলছিটির পানচাষী সুকুমার দাস বলেন, এ বছর পানের বাম্পার ফলন হলেও ঠান্ডায় পাতা হলদে হয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পানের ক্ষতি হলে পুজি হারিয়ে পথে বসে যেতে হবে।
মালিপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, রোবো চাষ করার সাহস পাচ্ছি না। যে পরিমান শীত পড়ছে, এতে একটু দেড়িতে বীজতলা তৈরি করতে হবে। কৃষি বিভাগ বলছে, সময় মতো বোরো চাষ না করলে ধানের ক্ষতি হতে পারে। আমরা এখন পড়েছি দোটানার মধ্যে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডায় বোরো বীজতলার বা আবাদে তেমন ক্ষতি হবে না। এছাড়া পানপাতা ঝড়ে যাওয়া রোধে এবং সবজি ও ফসলের পোকা আক্রামন ঠেকাতে কৃষকদের নানা রকমের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন