দেশে নিবন্ধিত ফার্মেসি দেড় লাখের মতো। এখনো নিবন্ধনের বাইরে লাখের বেশি ফার্মেসি। আগে আইনের দুর্বলতার কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নাই। এখন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের বাইরে থাকা অবৈধ ফার্মেসিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকার হেমায়েতপুরে মডেল ফার্মেসি লাজফার্মার ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মহাপরিচালক আরও বলেন, উন্নত দেশে ফার্মেসি একই রকম হলেও আমাদের এখানে ফার্মেসির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও চলে। তাই লাজফার্মার মতো মডেল ফার্মেসি ও মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন ফার্মেসি ছাড়া সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, আগে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি নাই, এবার ৪২ বছর পরে একটি আইন আসছে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। সামনে সংসদে এই আইন পাশ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অ্যান্টিবায়োটিকের যত্রতত্র ব্যবহারের পেছনে যত্রতত্র ফার্মেসি অন্যতম কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাথাব্যথাসহ যে কোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক নিতে পারছে মানুষ। এক্ষেত্রে ফার্মেসিগুলো কোনো নিয়ম মানছে না। এতে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এমনকি আইসিইউতে যে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়, সেটিও কাজে আসছে না। বিশ্বব্যাপী সামনে যা মহামারি রূপ নেবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশে যত ফার্মেসি রয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ২ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হয়। আমাদের দেশেও এক সময় কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ আনতে হতো, এখন হাত বাড়ালেই ফার্মেসি।
এ সময় লাজ ফার্মার প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুতফর রহমান বলেন, আমরাই দেশের প্রথম সার্টিফাইড মডেল ফার্মেসি, যারা নির্ধারিত তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ করে। লাজ ফার্মার চেয়ারম্যান সৈয়দা মাহফুজা রহমান বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত গীতিকার মো. রফিকউজ্জামান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রফেসর ডা. এম এ রশিদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন