শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মঠবাড়িয়ায় সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলার ছোট শৌলা শাহাদাৎ হোসেন দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুপারের গঠিত অবৈধ কমিটি বাতিল চেয়ে আদালতে দেয়া মামলায় বাদী হওয়ায় শিক্ষক মো. লাভলু তালুকদারের বিল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামাল নিয়মিত মাদরাসায় না গিয়ে বাড়িতে বসে মাদরাসার কাজ করেন। তার অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকদের বেতন যখন তখন বন্ধ করে দেন। সুপারের অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় মাদরাসার ছাত্র সংখ্যা বর্তমানে ১শ’র নিচে নেমে এসেছে। অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে গোপনে গত ১৪. ৯. ২২ তারিখে সুপার কর্তৃক গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ১৩.১০.২২ তারিখ বোর্ড থেকে অনুমোদন পর প্রকাশ হলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অবৈধ কমিটি বাতিল চেয়ে অভিভাবক মো. নুরুল ইসলাম, দাতাসদস্য মোসা. নাজমা বেগম ও শিক্ষক মো. লাভলু তালুকদার গত ১৪.১১.২২ তারিখে মঠবাড়িয়া সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
শিক্ষক লাভলু তালুকদার জানান, অবৈধ কমিটি বাতিল চেয়ে করা মামলায় বাদী হওয়ায় সুপার তার সরকারি অনুদান বন্ধ করে দিযেছেন। মাদরাসার ৪দাতা সদস্য এবং ৯ শিক্ষক সুপার কর্তৃক গঠিত কমিটি সম্পর্কে তারা কিছুই জানেন না বলে নোটারি পাবলিকে পৃথক এফিডেভিট দিয়েছেন। মাদরাসার সহসুপার মাওলানা আ. গফফার উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার পিতা আ. মজিদ হাওলাদার দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের লক্ষে ১৯৭৭ খৃষ্টাব্দে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। মাদরাসাটি সুনামের সাথে চলে আসলেও বর্তমানে সুপারের দুর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় ধ্বংসের মুখে উপনিত হয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এবং গঠিত ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার মো. নজরুল ইসলাম জানান, তার কাছে জমা দেয়া তফসিল অনুযায়ি তিনি তার দায়িত্ব পালন করেছেন। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তার দায় সুপারের। মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করলে চরম অবজ্ঞার সাথে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. অলি আহাদ জানান, মাদরাসার কমিটি নিয়া মামলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু তার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাহিন মিয়া জানান, মাদরাসার সুপারের সাথে শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মাদরাসাটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমি চাই মাদরাসাটি ঠিকভাবে চলুক। সহকারী শিক্ষক লাভলু তালুকদারের বিল করে দেয়ার জন্য সুপারকে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন