সিলেটের বিশ্বনাথে অভিনব পন্থায় চুরি হচ্ছে গরু। নিঃশ্ব হচ্ছে অসহায় পরিবারগুলো। তাদের শেষ সম্বল কারো দুটি কারো তিনটি গরু, দিনে-দুপুরে অভিনব পন্থায় সংঘবদ্ধ চোরেরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। গত ১৩ দিনে ১১টি গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। এতে বিশেষ করে কৃষকের মধ্যে বাড়ছে আতংক। প্রতিরাতে উপজেলার কোন না কোন এলাকায় চুরি বৃদ্ধির ফলে মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার, একদিকে চলছে জুম্মার খুতবা, অপর দিকে সংঘবদ্ধ চোরেরা একটি নোহা গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে দুটি গরু নিয়ে যায়। এমন দৃশ্য পাশের একটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা দেছে। ঘটনাটি উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের ময়নাগঞ্জ বাজার সংলগ্ন শেখ মহল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সড়কের পাশে একটি দোকানের পেছনে ঘটেছে। গরু দুটির মালিক কাশিমপুর গ্রামের লেচু মিয়া। এদিকে গত ৩ জানুয়ারি দিনগত রাতে বিশ্বনাথ ইউনিয়নের দন্ডপানিপুর গ্রামের শায়েক মিয়ার গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৪টি গরু চুরি হয়। যার অনুমান মূল্য ৩ লাখ টাকা। একইভাবে গত ২৪ ডিসেম্বর বরইগাঁও গ্রামের তাজুল ইসলামের ৪টি ও একই গ্রামের মনু মিয়া ১টি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছেন গরুর মালিকরা। একইভাবে কিছু দিন আগেও উপজেলার কালিগঞ্জ বাজার লাদেন মার্কেটের পেছন থেকে প্রাইভেট কারে করে আরো ২টি গরু চুরি হয়েছে। সিসি টিভির ফোটেজে স্পষ্ট দেখা দেলে আজও কোন তথ্য উদঘাটন করতে পানেনি পুলিশ।
এছাড়াও শেখেরগাঁও গ্রামের সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সৈয়দ আনোয়ার আলী, মো. আব্দুল খালিক, সৈয়দ হাব উল্লাহ, আহমদ আলী, আব্দুল মতিন, নুর ইসলাম গেদাই, এর পূর্বে সোনাফর আলী, জসিম উদ্দিনসহ আরো অনেকের টিউবওয়েলের পাম্প খুলে নিয়ে যায় চোরের দল।
সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, শেখেরগাঁও গ্রামের ৬টি পরিবারের বর্তমানে অন্যের বাড়ি থেকে তারা পানি সংগ্রহ করে দিনাদিপাত করছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজি আতাউর রহমান জানান, গরু চুরি রোধে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে শুকনো মৌসুম ও বেশি কুয়াশা থাকায় অন্য থানা এলাকার চোরেরা সুযোগ নিয়েছে। চুরি হওয়া গরু উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন