শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পদ্মা সেতু এলাকায় ঘনকুয়াশায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কম

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

পদ্মা সেতু চালুর পরে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই আসছে অসংখ্য মানুষ। ভ্রমণপিপাসু এসব মানুষের চাহিদা মেটাতে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের যেন আন্তরিকতার কমতি নেই। শিমুলিয়া ফেরিঘাটের পদ্মার তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভাসমান হরেক রকমের খেলনা ও খাবারের দোকান। এসব রেঁস্তোরায় আতিথেয়তার সবটুকু দরদ দিয়েই পর্যটকদের সেবা দিচ্ছেন তারা। ছুটির দিন গত বৃহস্পতি রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত রাত-দিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা পর্যটকদের উপস্থিতিতে পদ্মা সেতু এলাকা পরিনত হয় ভ্রমণপিপাসুদের মিলনমেলায়। কাছ থেকে পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে দিন-রাত চলে ফটোসেশন ও সেলফি তোলার হিড়িক। তবে ঘন কুয়াশার কারণে ঘুরতে আশা ভ্রমণপিপাসুরা পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেনা। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান সন্ধ্যা হলেই ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো এলাকা তাই পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাচ্ছে না। এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়েছে এজন্য পরিবার নিয়ে অনেকেই আসতে চাচ্ছে না। তাই কিছুদিন ধরে পর্যটকের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিনেও মানুষের উপস্থিতি তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গত শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আশা বিপ্লব খান বলেন, আমরা প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৫/২০ জন বন্ধুবান্ধব নিয়ে মাওয়া ঘাটে এসে সময় কাটাই ঘুরাঘুরি শেষে খাওয়া দাওয়া করে রাতে আবার চলে যাবো আজ প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে অন্য বন্ধুরা আসে নাই, আজ আমরা মাত্র চার জন বন্ধু শিমুলিয়ায় এসেছি।
শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় বারবিকিউ দোকানদার মো. মোসারফ হোসেন বলেন, ঠান্ডা ও ঘন
কুয়াশার কারনে ২/৩ দিন ধরে আগের মত লোকজন ঘাট এলাকায় ঘুরতে আসে না। রাত ১০টার পর ঘাট এলাকায় লোকজন শূন্য হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সেতু চালু হওয়ার পর আদি পেশা বদল করে পদ্মা সেতুর মাওয়া-জাজিরার অনেকেই এখন পর্যটনকেন্দ্রিক নতুন ব্যবসা কিংবা অন্য পেশায় আত্মনিয়োগ করছেন। এ দিকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের পর্যটনের উদ্যোক্তারাও নতুন সেবা দেয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। আশা করা যায়, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বহু কাক্ষিত পদ্মা সেতু শুধু যোগাযোগই নয়, পর্যটনের পাশাপাশি শিল্প-বাণিজ্যেও অনেক দূর এগিয়ে যাবে এই এলাকার মানুষ। দেশী-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্পটে পরিণত হচ্ছে পদ্মা সেতু এলাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন