ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুসংগঠিত করার লক্ষে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা দূর করতেই নতুন এই উদ্যোগ বলে জানান সংগঠনের নেতারা। শনিবার গাজীপুর কাপাসিয়া দেওনায় অবস্থিত মাদরাসায় দাওয়াতুল হকে উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে এই অরাজনৈতিক সংগঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি হয়েছেন প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান পীর সাহেব দেওনা। যিনি হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির।
পরে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সভাপতি প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান বলেন, আজ ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্মীয় শিক্ষা আজ অস্তিত্ব সঙ্কটে। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা সঙ্কোচনের ষড়যন্ত্র বরদাশ্ত করা হবে না। সরকারের কাছে আমাদের তিন দফা দাবি পেশ করছি। প্রথমত, জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হক্কানী আলেমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পাবলিক সিলেবাসে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তৃতীয়ত, পাবলিক পরিক্ষায় ধর্ম বিষয়ে ১০০ নাম্বারের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সারাদেশে এই দাবির পক্ষ জনমত গড়ে তোলা হবে। এ সময় সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা আশেক মোস্তফা, সংগঠনের সহ সভাপতি হেফাজতের সাবেক নেতা ও মারকাজুত তারবিয়্যাহ বাংলাদেশের মুহতামিম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা আবদুল বাসেত খান সিরাজগঞ্জী ও মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান (কটিয়াদী), মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা হামেদ জাহেরী, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ লালবাগ, মাওলানা জসিম উদ্দীন লালবাগ, মুফতী নাসির উদ্দীন নূরী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা ইয়ামিন হুসাইন আজমী, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ ও মাওলানা হুসাইন আহমাদ।
মহাসচিব হয়েছেন জামিয়া ইসলামিয়া তালীমুস সুন্নাহ থানুভীনগর, মুগদার মুহতামিম মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী। যুগ্ম মহাসচিব মুফতি দ্বীন মুহাম্মদ আশরাফ, মাওলানা কাজী মুঈনুদ্দীন আহমদ, মাওলানা মেসবাহ উদ্দিন প্রমুখ। সাংগঠনিক সচিব হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা মেরাজুল হক মাজহারী আর আইন সচিব হয়েছেন অ্যাড. মতিউর রহমান। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়, ১৯১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন