শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাবিতে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ , ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৫:১০ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দোলন নামের একই হলের সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নির্যাতনের একপর্যায়ে সইতে না পেরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) ভর্তি করেন বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলেন সুমাইয়া সুলতানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি অত্র হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতির ইন্ধনে এমন কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি পানি গরম করাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার সাথে অভিযুক্ত দোলনের কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দোলন রাগান্বিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে অভিযুক্ত দোলন ওইদিন রাতেই হলের দায়িত্বরত ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সবার সামনে ক্ষমা চাইলেও ছাত্রলীগের দায়িত্বরত নেত্রীরা তাকে বিভিন্নভাবে শাসান। এরপর দোলন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়ের সহায়তায় প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ৭দিন যাবত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে রুমে ডাকা ও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করেন দোলন ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্মৃতি রয়।
মঙ্গলবার অভিযুক্ত দোলনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অত্র হলের প্রভোস্ট ড. ফারজানা কাইয়ুম কেয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তাঁর কক্ষে ডাকেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও অভিযুক্ত দোলন। ভিতরে থাকা অবস্থায় এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়া হয়। বর্তমানে সে রামেকের ১৫নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নুরুন্নাহার দোলনকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এ ঘটনার সুষ্ঠুতদন্ত সাপেক্ষে দোলনসহ অভিযুক্তদের হল বহিষ্কারসহ ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূর বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট আমাদের হাতে আসলে সেটা আমরা শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠাবো। তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা বেরিয়ে আসলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন