শীত এলেই বগুড়ার সান্তাহারে পিঠার দোকানে ভোজন বিলাসী সব বয়সের বাঙালি নারী-পুরুষের ভড় জমে। এছাড়াও পিঠার দোকানের আশপাশে ডিমভাজি, ফুচকা, চটপটি, বুটমুড়ির দোকানেও প্রায় একই রকম ভিড় জমে। এসব দোকানে খাওয়ার ধুম পরে যায়। শুধু শীতেই নয়, শহরের রেলগেটের ভেতরে এসব দোকানগুলোতে সারা বছর জুড়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরের রেলগেটের ভেতরে গড়ে উঠেছে শীতকালীন সবধরনের পিঠা-পুলি, ডিমভাজি, ফুচকা, চটপটি বারোভাজা বোটমুড়ি মাখাসহ নানা ধরনের মুখরোচক সুস্বাদু খাবারের দোকান। এর মধ্যে তপুর পিঠার দোকানে তেলপিঠ, ঝালের পিঠা, পাটিসাপঠা, কুশলি, ভাপাপিঠাসহ প্রায় ১৫ রকমের পিঠা পাওয়া যায়। জিল্লুরের ডিমভাজির দোকানে ৫ প্রকারের ডিমভাজি বিক্রি হয়।
এছাড়াও খাইরুলের ফুচকা, লোকমান জামাইয়ের গরুর চটপটি, মকিমের বুটমুড়ি মাখার দোকানসহ একাধিক দোকান রয়েছে। আর এসব মজাদার পিঠা ও ডিমভাজির দোকানে সান্তাহার শহরসহ পাশের নওগাঁ জেলার আত্রাই, রানীনগর, তিলকপুর, আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ আশপাশ এলাকার নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষের ভিড় জমে। সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত একই রকমভাবে চলে বেচাকেনা।
পিঠা খেতে আসা নওগাঁ সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ আহমেদ বলেন, শীতে পিঠা খাওয়ার রীতি গ্রাম বাংলার চিরায়িত সংস্কৃতির অংশ। শীত এলেই গ্রাম-গঞ্জ এবং শহরে ঘরে ঘরে অন্তত একদিন আত্মীয় স্বজন নিয়ে বেশ আনন্দ উৎসবের মধ্যে পিঠা খাওয়া হয়। এখন বিভিন্ন মেলায় এবং হাটে-বাজারে এখন পিঠার দোকানে শীতের সবরকম পিঠা পাওয়া যায়। দোকানে বসে পিঠা খেলে আনন্দ উৎসবে মত মজা পাওয়া যায়।
সান্তাহারে পিঠা, ডিমভাজি, ফুচকা, চটপটি, বুটমুড়ি বিক্রি করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছেন। পিঠা দোকনি তপু বলেন, প্রতিদিন বেশ ভালো আয় হয়, শীতের সময় বেচাকেনা বেশি হয়। ডিমভাজি ও বোটমুড়ির দোকানিরা বলেন অন্যে ব্যবসার চেয়ে এই দোকান করে বেশি লাভ হয়। এসব ব্যবসা করে জমিজমা, বাড়ি-গাড়ির মালিকও হয়েছেন কেউ কেউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন