পটুয়াখালীর রাঙাবালীতে ধর্ষণের পর লামিয়াকে (১১) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ গুম করতে ফেলে দেয়া হয় নদীতে। গতকাল সোমবার সকালে রাঙাবালী থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার এ তথ্য জানান।
এর আগে গত রোববার উপজেলার চরআন্ডা এলাকা থেকে আসামি আল-আমিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। আল-আমিন একই এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রোববার আল-আমিনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেন। লাশ গুম করার জন্য বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে ফেলার কথাও জানান আসামি। নিহত শিশুর লাশ উদ্ধারে অভিযুক্ত আল-আমিনকে নিয়ে নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে। নিখোঁজ সুমাইয়ার চার দিনেও মিলেনি সন্ধান। তার দেখানো স্পটে জাল ফেলে তল্লাশি চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চরআন্ডা বাজারে মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতে যায় লামিয়া। ফেরার পথে অটোরিকশাচালক আল আমিন হাওলাদার তাকে ডেকে বিলে নিয়ে যান। এরপর ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিভিন্ন আলমত এবং আল-আমিনের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এ দিকে শিশু লামিয়ার হত্যাকারীর বিচার দাবিতে গত রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি থেকে ধর্ষকের ফাঁসির দাবি তোলা হয়। অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে সমাজ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান সচেতনমহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন