শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালতাবাড়ী উপজেলার সর্বত্র বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এদের উৎপাতে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব বেওয়ারিশ কুকুর। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের আমলে পাগলা কুকুরের উপদ্রব বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু উচ্চ আদালত ২০১২ সালে এ ধরনের জীব মেরে ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর আশংকা জনকভাবে বেড়ে গেছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব।
জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগ রয়েছে তাও বিগত বছরগুলোতে কার্যকর করা যায়নি। প্রতাবনগরের শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ রেজায়ুর রহমান মাস্টার, সারি কালিনগরের আলহাজ শরীফউদ্দিন সরকার ও শালচুড়া গ্রামের সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, ১০/১৫টি করে কুকুর একত্রে দল বেঁধে ঘুরাফেরা করে। রাস্তাঘাটে কুকুরের অবাধ বিচরণ ও তেড়ে আসার ভয়ে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কখন যে কামড় দেয়। কুকুরগুলো পথচারীদের দেখে ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে কামড়াতে। যেখানে সেখানে কুকুরের অবাধ বিচরণ নিত্যনৈমিতিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য এখন বেওয়ারিশ কুকুর দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পথচারী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। টাউন-বাজারে হোটেল-রেস্তোরার সামনে, রাস্তাঘাটে এমনকি বাসা-বাড়ির সামনে যত্রতত্র অসংখ্য কুকুর দলবদ্ধভাবে ঘুরে বেড়ায়। এতে আতঙ্কে পথ চলতে হয়। অন্য দিকে অনেক রোগাক্রান্ত কুকুর ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে বসে থাকে। এমনকি খাদ্যদ্রব্যে মুখ দেয়, যা বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে।
চিকিৎসক ডা. আব্দুল বারী বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর খুবই বিপজ্জনক হলেও সঠিক ব্যবস্থা থাকলে প্রাণহানি বা ক্ষতির শঙ্কা কমানো সম্ভব। কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগের ঝুঁকি রোধে কুকুরের শরীরে টিকা দেওয়া যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সরকারিভাবে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন