শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স খাবার প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  বিজয় দিবসের দিন ৩০ জনকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হলেও কাগজে-কলমে ৫০ জনকে খাবার দেখানো হয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি অভ্যন্তরীণ রোগীদের মাঝে পথ্য সরবরাহে বরাবরই অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের  অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও উন্নতমানের খাবার সরবরাহে নিম্নমানের খাবার দেয়া হয়ে থাকে বলে ভুক্তভোগী রোগীরা জানায়। পাশাপাশি রোগী ভর্তি কম থাকলেও ৫০ জন দেখিয়ে খাদ্য বিল তৈরি করা হয়ে থাকে। ওই অতিরিক্ত খাদ্য বিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  বড় কর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৬ ডিসেম্বর সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বর পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ৩৫ জন রোগী, ১৪ ডিসেম্বর ৪৪ জন, ১৫ ডিসেম্বর ৫০ জন এবং বিজয় দিবসের দিন ৫০ জন রোগী ভর্তি ছিল। সরকারী বিভিন্ন দিবসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের নিয়ম রয়েছে। এবারে বিজয় দিবসের দিনে ৩০ জন রোগীকে উন্নতমানের খাবার দেয়া হলেও হাসপাতালের রেকর্ডপত্রে ৫০ জন রোগীর নাম রয়েছে। বিজয় দিবসে মহিলা ওয়ার্ডের বি-২ বেডের রোগী ফারিহা বেগম, বি-১১ বেডের রোগী আয়শা বেগমকে দুপুরের খাবার দেয়া হয়নি। ওই ওয়ার্ডে ১২টি বেডে রোগী ছিল না। অপরদিকে পুরুষ ওয়ার্ডের বি-১, বি-৬, বি-৭, বি-৮সহ ৮টি বেডে রোগী ছিল না। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত এক নার্স নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, অনেক সময় রোগীরা পালিয়ে যায়। আজ (বিজয় দিবসের দিন) ৯ রোগী পলাতক। ১২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের বাবুর্চি মমিনুর রহমান জানায়, আমি রাতে (বিজয় দিবসের রাতে) ৩০ জনের খাবার রান্না করছি। রাতে ব্রয়লার মুরগী, পোলাও, সবজি ও দেশী বুটের ডাল রয়েছে। রংপুরের এক ঠিকাদার পীরগঞ্জ হাসপাতালের পথ্য সরবরাবকারী পীরগঞ্জের মোস্তফা আল আমিন নামের একজনকে সাব-ঠিকা দিয়েছেন। সাব ঠিকা গ্রহনকারী অতিরিক্ত মুনাফার লোভে  খাদ্য বা পথ্য সরবরাহে দুর্নীতি অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছে। সাব ঠিকাদার মোস্তফা বলেন, সকাল-দুপুরে উন্নতমানের খাবার দিয়েছি। যদি কোন রোগী রাতে না থাকে তবে কাকে খাবার দেবো? উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ছুটির দিনে আমি যাইনি। রোগীদের খাবার নিয়ে কি হয়েছে, পরে দেখবো’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন