সড়ক নির্মাণ নয়, যেন দুর্নীতির আখড়া। আর স্থানীয়দের কাছে নির্মাণাধীন সড়কটির পরিচিতি লাভ করছে দুর্নীতির আখড়া হিসেবেই। আবার অনেকের ভাষ্যমতে নাম সর্বস্ব সড়ক নির্মাণ করা হলেও প্রভাবশালী ঠিকাদারের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না স্থানীয় জন প্রতিনিধিরাও। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিরাও বলছেন, ওই সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে চিঠি দেয়া হলেও তা উপেক্ষা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। তাই সাধারণ মানুষের মনেও এখন প্রশ্ন উঠেছে কে এই প্রভাবশালী ঠিকাদার।
লালুয়া ইউপি কার্যালয় থেকে মঞ্জুপাড়া পর্যন্ত ২৮শ’ ৬০ মিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে। আর এই সড়ক নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজ। তবে দীর্ঘদিন ধরে ওই সড়কের নির্মাণ কাজে অগ্রগতি না থাকায় স্থানীদের দাবির মুখে পরে ধীর গতিতে কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। আর কাজ শুরুর পর থেকে ওই সড়ক নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে ভুক্তভোগী স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোথায় ভাল সামগ্রী ব্যবহার করেনি ঠিকাদার। নির্মাণ কাজে ১ নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সর্বনিম্ন মানের ইট দিয়ে সম্পূর্ণ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। যে সকল ইট স্থানীয়দের কাছে চুলার মাটি হিসেবে পরিচিত। এমনকি সড়কে ব্যবহৃত ইট হাতে নিয়ে চাপ দিলেই গুড়ো হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই ভুক্তভোগী বাসীন্দারা ওই সড়কের নাম দিয়েছেন দুর্নীতির আখড়া।
স্থানীয় বাসীন্দা সবুজ জানান, লালুয়া সৃষ্টির পর প্রথম এই পথে পাকা সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে সড়ক উন্নয়ন কাজে এমন দুর্নীতি কোনদিন দেখেননি বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, ইট নামের চুলার মাটি দিয়ে সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। যা যানবাহন চলাচলে ইতোমধ্যে ধুলায় পরিনিত হয়েছে। অপর বাসিন্দা খলিল মিয়া জানান, একেবারে পঁচা ইট ব্যবহারের ফলে সব গুড়ো হয়ে বাতাসে ওড়ে যাচ্ছে। আর এই ধুলা বসতবাড়িতে প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস জানান, প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয়রা সড়কটির নিম্নমানের ইট অপসারনের দাবি নিয়ে আমাকে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমি নিজেও কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবুও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।
এবিষয়ে জানতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে কে এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী কবির’র সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলি কাজী ফয়সাল বারি জানান, ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন