চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দু’টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত অবৈধ এবিসি নামক একটি ইটভাটাকে কোনো রকম বৈধতা না থাকায় গত সোমবার সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেয় এবং লক্ষাধিক ইট গুড়িয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া বেতাগী এলাকায়ও কেবিএম নামে আরেকটি ইটভাটাকে মাটিকাটার অপরাধে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এই অভিযানে নের্তৃত্ব দেন। অভিযানে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর এবং চট্টগ্রাম জেলা ও রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ প্রশাসন। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, নানা কারণে আলোচিত রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুরের এবিসি ইটভাটা সম্পূর্ণ অবৈধ ছিল। ওই ইটভাটায় অভিযানে এবিসি কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই আমরা সেটির চুল্লি, চিমনি গুড়িয়ে কাঁচা-পাকা প্রায় এক লাখ ইট মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছি। একই দিন বিকালে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কেবিএম ইটভাটার মালিককে পাহাড় থেকে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার দায়ে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উল্লেখ্য, উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় অবৈধ এবিসি ইটভাটায় গত ২৫ ডিসেম্বর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ করেসপনডেন্ট আবু আজাদ। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সাংবাদিক আবু আজাদ বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলো ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, মেম্বার মহিউদ্দিন, তালুকদার মোহন, ইটভাটার ম্যানেজার কামরান ও মোহনের সহযোগী কাঞ্চন তুরি। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পরে এবিসি ইটভাটার ম্যানেজার কাঞ্চন কুমার তুরিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ একদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আবু আজাদকে নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় স্বোচ্চার সিপিজে (কমিটি ফর প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন