ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন ছাত্রলীগ কর্মী কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। জানা যায়, লালন এমফিলের একটি কোর্সের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। পরীক্ষা শেষ হলে তিনি কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে ভ্যানে করে প্রধান ফটকের দিকে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, লালন ভ্যানে করে প্রধান ফটকের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় প্রধান ফটকের সামনে গেলে বর্তমান ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীরা বাইকে এসে তাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে অতর্কিত কিল, ঘুষি, লাথিসহ এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের সহযোগিতায় তিনি লাইন বাসে উঠে কুষ্টিয়া চলে যান। মারধরের সময় ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন আলম, মেহেদী হাসান হাফিজ, বাঁধনসহ কয়েক জন কর্মী ছিলেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান লালনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। মারধরে অভিযুক্ত শাহিন আলম বলেন, কে কাকে কখন মারধর করেছে এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আমি শুনতে পেলাম সে নাকি ভ্যান থেকে পড়ে গিয়েছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, এ ঘটনা আমাদের কনসানের বাহিরে ঘটেছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মাঝে পূর্ববর্তী কোন ঝামেলা থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমরা অভিযুক্তদের সাথে কথা বলব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরে জেনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের কেউ জানায়নি। যখন আমরা জেনেছি তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা কর্মীদের পাঠিয়েছিলাম। পরে তারা সেখানে গিয়ে কাউকে পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন