মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে। গতকাল বুধবার মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তায় মামলার নথিপত্র পাঠান অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিম। তবে মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানির জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে এখনো কোনো দিন ধার্য হয়নি বলে জানান মহানগর পিপি আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, মামলার নথিপত্র আগামীকাল পাব। তারপর অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবেন আদালত।
এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, মামলার অভিযোপত্রের পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুসারে এখন বিচারিক আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানি শুরু হবে।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর মিতু হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালুর বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত। গত ১০ অক্টোবর স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্রগ্রামের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক। ২০১৬ সালের ৫জুন নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন