শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ

কনকনে ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে মানুষ

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫০ এএম

কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার (১৩জানুয়িারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারনে বেড়ে যায় কনকনে ঠান্ডা। এ অবস্থা চলে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষেরা। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী জানান, প্রায় এক মাস ধরে ঠান্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠান্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকসাচালক সদর উপজেলার আমজাদ হোসেন জানান, আমি শহরে রিকসা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকসার হেন্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীত না যাওয়া পর্যন্ত খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারী ভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরো ৩ হাজার শীত বস্ত্র। এছাড়াও নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়া সাথে সাথে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন