পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক অসহায় পরিবারের নামে বরাদ্ধকৃত জমি দখল করে নিয়েছে। সেখানে বেকু দিয়ে মাটি কাটার পূর্বে উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদ কেটে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে জমির মালিকরা বাঁধা দিতে তাদেরকে হত্যা গুমের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে কলাপাড়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, সার্পিয়া খাতুনের নামে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া নিশানবাড়িয়া মৌজার এক একর জমি বন্ধোবস্ত দেয় সরকার। এ জমি দীর্ঘদিন এরা ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ গত ৭ জানুয়ারি ওই এলাকার মো. নাজেম মীর তার লোকজন নিয়ে সার্পিয়া খাতুনের জমিতে বেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এর আগে বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই সেখানের প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ কেটে নিয়ে ফেলেছে। সার্পিয়া খাতুনের অবর্তমানে ওই জমির মালিক তার ছেলের ঘরের নাতি মো.আলানুর গাজী তার লোকজন নিয়ে বাধাঁ দেয়। মো. নাজেম মীর জাল-জালিয়াতি করে কাগজ তৈরি করে জমির মালিকানা দাবি করে। তাছাড়া ওই জমির ধারে-কাছে গেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারেও মো. আলানুর গাজী বাদি হয়ে মো. নাজেম মীর, মো. হারুন মীর ও মো. ফোরকানকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
এ ব্যাপারে মো. নাজেম মীর বলেন, ওই জমি মালিক সার্পিয়া খাতুন আমার কাছে জমি বিক্রি করেছেন। আমি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক। সরকারি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ সে কাটেনি বলে দাবি করে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের কলাপাড়া রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাটি দেখেছি। গাছ কাটার আলামত সেখানে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা বিনা অনুমতিতে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির ছইলা, কেওড়া ও বাইন গাছ কাটার কারনে বিভাগীয় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন