শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ধুলায় দূষণের শিকার পঞ্চগড়বাসী

মো. সম্রাট হোসাইন, পঞ্চগড় থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আতঙ্কজনকহারে পরিবেশ দূষনের শিকার হচ্ছে পঞ্চগড়বাসী। শহরটি যেন ধুলোর রাজত্বে পরিনত হয়েছে। ধুলোয় রয়েছে বিষাক্ত সব বস্তুকনা, আর ধুলো মিশে যাচ্ছে বাতাসে। সে বাতাস আর ধুলা-বালিতে সিলিকোসিস, এলার্জিসহ ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়াবহ সব রোগব্যাধি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, দূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক। শহরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে মাহিন্দ্র ট্রাক্টর মাটি-বালি নিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করছে। আর সেই বালি-মাটি পড়ে রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন জায়গায় ৩/৫ ফুট ধুলো জমাট হয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের সংস্কারের কোন উদ্যোগ নাই। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে একাধিক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধাক্কামারা ও চৌরঙ্গী মোড়ে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা, একটি করে বাস-ট্রাক চলে যাচ্ছে আর রাস্তার ধারে যাত্রীসহ পথচারীরা চোখ মুখ বন্ধ করে নাক চাপে থাকছেন। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা এলাকাতেও ধুলোর ভোগান্তিতে দেখা মিলল নাকমুখ চেপে ধরে চলাচলের দৃশ্য।
পরিবেশ অধিদপ্তর পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইউসুফ আলী জানান, আমরা যেহেতু হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে সড়কে অভিযান পরিচালনা করি। এরপর থেকে একই সাথে এই বিষয়টা দেখা যাবে। কোন যানবাহন খোলামেলাভাবে বালি-মাটি পরিবহন করছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল হাসান জানান, অতিরিক্ত ধুলা-বালির কারণে সিলিকোসিস, এলার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ বিষয়টি এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলায় আমরা সেমিনারও করেছি। পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন জানান, প্রতিদিন সড়ক দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পঞ্চগড় মূলত ধুলার শহর। ধুলা নিরসনে সড়কে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। পানি দেয়ার পরে কয়েকটি গাড়ি গেলেই শুকিয়ে আবার ধুলো শুরু হয়। যানবাহন যদি পরিস্কার করে শহরে প্রবেশ করে তাহলে কিছুটা ধুলা কম হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন