বগুড়ার আদমদীঘিতে গত এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহ হাড়কাঁপানো শীতজনিত কারণে মানব ও প্রাণীকুলের রোগ বালাই যেমনটা বেড়েছে, তেমনি রবিশস্যের ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আসন্ন ইরি-বোরো রোপন মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলার ৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌর সভায় এবছর ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শেষে ইরিবোরো আবাদের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কৃষকরা। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরি-বোরোর বীজ বীজতলায় বপন করা হয়েছে। কিন্তু অঙ্কুরোদগম হলেও চারা বাড়ছে না। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে অধিকাংশ বীজতলার চারা অঙ্কুরেই মরে যাচ্ছে। পানি দিয়ে ধুয়ে দেয়া এবং পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেও তেমন একটা সুফল পাচ্ছেনা স্থানীয় কৃষকরা। এমতাবস্থায় বোরো’র বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। গত এক সপ্তাহ ধরে রাতের বেলা যেভাবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা ঝড়া এবং তীব্র শীত চলছে তা অব্যহত থাকলে বোরোর চারা সংকট দেখা দিতে পারে। সেই সাথে আলুর ক্ষেতে মড়ক ধরা ও শীতকালীন সবজি নষ্ট হবার আশংকা করছেন কৃষকরা।
উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের কৃষক ছাহের আলী, সান্তাহার পৌরসভার দুই নম্বর ওয়াডের শাজাহান আলী, নশরতপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বরিয়াবার্তা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঝড়া ঘন কুয়াশা প্রচন্ড শীতের কারণে তাদের বীজতলার চারা ফ্যাকাসে ও লালচে রং ধারন করে মরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বিরাজমান শৈত্যপ্রবাহ ও প্রচন্ড শীতের কারণে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তারপরও কৃষকদেরকে বীজতলায় সাদা পলিথিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন