শিক্ষার প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিলেও দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০২০ সালে হাইওয়ে পাশে হওয়ার কারণে দ্বিতল ভবনটি ভেঙে দেয়া হয়। এরপর স্কুল সংলগ্ন হাইস্কুলের ভাঙা টিনসেট ঘরে অনেক কষ্টে ক্লাসে পাঠদান চলছে। শ্রেণিকক্ষ ও আসবাপত্রের অভাবে একবেঞ্চে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসে ক্লাস করছে। ১৯২০ সালে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করছে। প্রায় ৪৫০জন শিক্ষাথী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করেন। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলাফল করে আসছে। বিদ্যালয়টি ডোমার উপজেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নানাবিধ সমস্যায় জরার্জীণ হয়ে পড়েছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ভাঙা টিনসেট ঘরে ও আসবাবপত্রের অভাবে একবেঞ্চে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদিভাবে বসে ক্লাস করছে। এই বিদ্যালয়ের রেজাল্ট খুব ভালো হয় এজন্য বাইরের শিক্ষার্থীরা এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য আগ্রহী। এ বিদ্যালয়ের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। সবারেই এই বিদ্যালয়ের অতীত ইতিহাস জানা আছে।
৫ম শ্রেণির ছাত্র ফরহাদ বলেন, শ্রেণি কক্ষের জন্য আমাদের অনেক সমস্যা হয়। শ্রেণি কক্ষ ভাঙা, আসবাব পত্রের অভাবে আমাদের গাদাগাদি করে বসতে হয়, এতে আমাদের লিখতে খুব সমস্যা হয়।
দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাজনীন আরা মালা বলেন, ২০২০ সালে হাইওয়ের কারণে বিদ্যালয় ভবন ভেঙে দেয়া হয়। স্কুল ভবন ভেঙে ফেলার কারণে পাঠদানে অনেক কষ্ট হচ্ছে আমাদের। স্টুডেন্টের সংখ্যা সাড়ে ৪শ’। আমরা ২ বছর ধরে ভাঙা টিনসেট ঘরে ক্লাস নিচ্ছি। এখন তো আর পারছি না। যতদিন যাচ্ছে স্টুডেন্টের সংখ্যা বাড়ছে। বরাবরই এই স্কুলের ফলাফল অনেক ভালো হয়। ভাঙা টিনসেট ঘরে অনেক কষ্ট করে শিক্ষকগণ ক্লাস নিচ্ছেন বলে জানান এই প্রধান শিক্ষিকা। প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধান হলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন অনেকেই।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন বলেন, স্কুলের ২য় তলা ভবনটি হাইওয়ের কারণে ভেঙে দেয়া হয়। আমরা একটি নুতন ভবন পেলে আমাদের বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন