জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : আশাশুনি কারাগার ও এতিমখানা জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ অর্থাভাবে বন্দ হয়ে গেছে। শীত-বৃষ্টি-রৌদ্রে অতি কষ্টে মসজিদের মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। মসজিদ একটি মূল্যবান ও অতীব প্রয়োজনীয় আল্লাহর ঘর। আশাশুনি মরিচ্চাপ ব্রিজের মুখে প্রাক্তন খেয়াঘাটের কাছে তৎকালীন কারাগার তথা জেলখানার মুখে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে মুসল্লিদের সাধ্য মত গোলপাতার ছাউনি দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন মুসল্লির সংখ্য খুব বেশি না থাকলেও আস্তে আস্তে অনেক মুসল্লির সমাগম হতে থাকে এবং এক পর্যায়ে টিনের ছাউনি দিয়ে মসজিদকে অপেক্ষাকৃত ভালো পর্যায়ে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মসজিদের পাশে জেলখানাটি “বিভাগীয় এতিম ছেয়েমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”Ñএ রূপান্তরিত হয়েছে। শানসওকাতপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে ‘ছাবড়া মসজিদ’ কেমন যেন বেমানান হয়ে উঠেছে। তাছাড়া উপজেলা সদরে দুর্দশাগ্রস্ত ও জীর্ণশীর্ণ মসজিদ কেমন যেন অবহেলাগ্রস্ত বিবেচিত হয়। তাই মুসল্লিরা নিজেদের সর্বোচ্চ সহায়তা বিনিয়োগ করে মসজিদটিকে সুন্দর করে নির্মাণের কাজে হাত দেন। ইতোমধ্যে মজবুত ভীতের উপর পিলার দ্বারা লিনটন পর্যন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এতে খরচ হয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা। তাদের সংগৃহীত টাকা নিঃশেষ হয়ে গেছে। কাজ আর এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ গরিব ও স্বল্পসংখ্যক মুসল্লির পক্ষে মসজিদটিকে প্রত্যাশাপূর্ণ মসজিদে পরিণত করা অসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন রোডে মাইকের সাহায্যে সাহায্য আদায়ের কসরৎ চলছে, কিন্তু কাজ শুরু করানোর মত টাকা এভাবে কি আয় করা সম্ভব? তাই মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সাহায্যের আবেদন নিয়ে দাঁড়িয়েছে। দুঃখের বিষয় এ পর্যন্ত মসজিদটির উন্নয়নে কোন সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়নি। ধনাঢ্য ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ইচ্ছে করলে তাদের দানে মসজিদটির নির্মাণ কাজ আবারও শুরু করার সুযোগ করে দিতে পারে। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি সহায়তা এখানে দিতে পরে। আগ্রহীদের মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মমতাজ উদ্দিনের মোবাইল নং- ০১৭২৬৫২১৭০৭ (বিকাশ) ও ০১৭১৮৬৫৬৯৩৩ এ যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন