সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

৬ বছর ধরে গলার কাঁটা ভাঙা সেতু

ফয়সাল হক, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মজাইটারী-নয়াবস এলাকায় সেতু নির্মাণের তিন মাসের মাথায় বন্যার তোড়ে ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় সড়কটিও। এরপর দীর্ঘ ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু ও সড়ক কোনটিও আর মেরামত করা হয়নি। এতে নয়াডারা, মজারটারী, চরোয়ার পাড় ও নয়াবাশ এলাকার হাজারো মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির কাজ শেষ হয় ২০১৭ সালে। এর ৩ মাসের মাথায় বন্যার পানির তোড়ে সেতুর দু’পাশের মাটি সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়। সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুটিও ধসে গিয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তখন থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে থাকলেও আমলে নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নয়াবস এলাকার রবিউল ইসলাম (৫০) বলেন, অনিয়মের মধ্য দিয়ে সেতুটি তৈরির ফলে অল্প দিনেই এ অবস্থা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে এখন চলাচল করতে হয়। একই এলাকার জয়নাল হক (৫৫) বলেন, সেতু তৈরির কয়েক মাসের মধ্যে সংযোগ সড়কসহ সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর থেকে চলাচল করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়েছে। স্থানীয় ফয়জার আলী ও জামেলা বেগম জানান, শুকনা মৌসুমে হেঁটে চলাচল করা গেলেও বৃষ্টি আর বন্যার সময় কষ্টের সীমা থাকে না। তারা আরো জানান, সড়কটিও দীর্ঘ ৩০ বছরে সংস্কার হয়নি। ভাঙা সড়কে চলতে শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সিরাজুদৌলা বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজটির বিষয়ে ত্রাণ শাখায় কথা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রæত কাজ শুরু করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন