উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘনকুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উত্তর জনপথের ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগে শিশু আর বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে টিকিৎসাধীন রয়েছে ১০৫ জন। এর মধ্যে শিশু ৬১ জন এবং বয়স্ক ৩০জন।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তরজনপদের সমতল ভূমি দিয়ে বইছে তীব্র শৈত প্রবাহ। শীতে কাঁপছে ডোমারের প্রায় ১ লাখ মানুষ। শীতের তীব্রতায় শিশু আর বয়স্করা নিদারুন কষ্টভোগ করছেন। বিশেষ করে ভারতের হিমালয় পর্বত এলাকার দার্জিলিং ডোমার উপজেলার কাছে হওয়ায় সাধারন নিম্নআয়ের মানুষ শীতে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন।
শীতজনিত রোগে ডোমার হাসপাতালে ৬১ জন শিশু নিউমোনিয়াসহ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত।
বয়স্ক রোগী ৩০জন ডায়রিয়াসহ রোগী শ্বাসকষ্টজনিত রোগে চিকিৎসাধীন। সূর্যের দেখা গেলে কিছুটা উষ্ণতা ছড়াতো, কষ্ট লাঘব হতো মানুষের। শীতের তীব্রতায় যোগ হওয়া হিমেল হাওয়া কাবু করেছে ডোমার উপজেলার নিম্নআয়ের মানুষদের। প্রচন্ড শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাঙ্গা মটুকপুর থেকে আসা শেফালি বেগম জানান, শীতের কারণে আমার দুই বছরের মেয়ের নিউমোনিয়া, তাই নিরুপায় হয়ে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছি। গত তিন দিন থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আমি।
বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম বলেন, ঠান্ডার কামড়ে হামার শ^াসকষ্ট বেড়ে গেছে। হামরা গরীব মানুষ, মোর স্বামী মাইষের বাড়িত কাজ করে। ঠান্ডার কারণে সেও কাজ করতে পারেনা। ওষুধ কিনবার টাকা নাই তাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
এ প্রসঙ্গে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদা তাসনিন বলেন, শীতকালীন রোগ হিসেবে নিউমোনিয়া ডায়রিয়ার রোগী গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০৫ জন। এর মধ্যে শুধু শিশুই রয়েছে ৬১ জন, যারা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত এবং বয়স্ক রোগী রয়েছে ৩০ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন