মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুটপাতের দোকান নিয়ে সংঘর্ষ কাউন্সিলরসহ আহত ৪

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে পৌর শহরে বন্দর মার্কেটে ফুটপাতে থাকা দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলায় ব্যবসায়ীদের সাথে কথাকাটা কাটি হয়। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এসময় সংশ্লিষ্ট মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত হয়। তার উপস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাউন্সিলের সংঘর্ষ হয়। এতে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তালেবসহ ৪ জন আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর বাজারের ভাই ভাই হার্ডওয়ার দোকানে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউন্সিলর আবু তালেব হঠাৎ করে পৌর শহরের বন্দর বাজারের ভাই ভাই হার্ডওয়ারের সামনে গিয়ে দোকানের কর্মচারীদের বলেন, সড়কের পাশের ফুটপাতে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য এখানে এত মালামাল কেন রাখা হয়েছে। এগুলো এখনই সরিয়ে নেন। একপর্যায়ে তিনি খুব রেগে গিয়ে দোকানের মালিককে তার সামনে আসতে বলেন। দোকানের কর্মচারীদের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় আবু তালেব উত্তেজিত হয়ে দোকানের সামনে থাকা পাইপ, ডিজিটাল পাল্লাসহ বিভিন্ন ধরণের পন্য ভেঙ্গে ভেলে তিনি সেখান থেকে আ.লীগ অফিসের সামনে অবস্থান করে।
সেখানে মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা জানতে চাই তালেবের কাছে। এসময় মেয়রসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে তালেবের কথা হয়। কথা চলাকালিন সময় কাউন্সিলর ব্যবসায়দের ওপর চড়াও হয়। ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে মেয়রের উপস্থিতিতে কাউন্সিলর আবু তালেবকে বেধর মারপিট করে। আহত কাউন্সিলর আবু তালেবকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল হাসপালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে তাকে দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে দোকানে হামলার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে থানা পুলিশ ও আ.লীগ সভাপতি সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক মেয়র মখলেসুর রহমানের হস্তক্ষেপে এবং এটির সুষ্ঠ সমাধানের আস্বাসে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে দেন। ভাই ভাই হার্ডওয়ারের দোকান মালিক বিক্রম পাল বলেন, কাউন্সিলর আবু তালেব অতির্কৃতভাবে দোকানে হামলা চাই। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাউন্সিলর আবু তালেব বলেন, কারো উসকানিতে মেয়রের উপস্থিতিতে কতিপয় ব্যবসায়ীরা তার ওপর অর্তকৃত হামলা চালিয়েছে। মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। এ অনাকংখিত ঘটনাটি তৃতীয় পক্ষের উসকানিতে ঘটতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। থানা অফিসার ইনচার্জ গুলফামুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি পৌর মেয়র সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। এপর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন