রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় হাসপাতালটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। অধিকাংশ স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে আর দেওয়ালে পলেস্তারা খসে পড়ছে। জরুরি বিভাগের ছাদের অংশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হওয়ায় ছাদ ভেঙে পড়ার আশংকা। এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে সেবা প্রদান। সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের চলাচলের পথে ছাদের পলেস্তার ঝড়ে পড়ায় আতঙ্কে থাকেন সেবা নিতে আসা রোগীরা, তাদের স্বজন, ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের কর্মচারীগণ। দায়িত্বরত কর্মকর্তা যদিওবা জরুরি বিভাগ অন্যস্থানে একটি ছোট্ট কক্ষে জরুরি কাজ চলমান রেখেছেন। আরো দেখা গেছে, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন প্রচুর রোগী। কিন্তু জরুরি বিভাগের দরজায় তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। তবে স্থান পরিবর্তন রোমে ক্ষুদ্র লেখার একটি নোটিশ ঝুলিয়ে রাখলেও তা সহজে চোখে পড়ছে না। হাসপাতালের এই অবস্থা দেখে রোগীদের মধ্যে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
জানা যায়, ভবনটির সিঁড়ির কাছে ছাদের পলেস্তারা ঝড়ে পড়েছে। এর পূর্বে ভবনের জরুরি বিভাগের সামনে ছাদের ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপজ্জনকভাবে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক দেখা গেছে।
ভবনটি ১৯৬৫ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৫৭ বছরের পুরাতন ভবনটিতে প্রায়ই ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। যেকোনো সময় অঘটন হতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
চিকিৎসা নিতে আসা জগদিশ দাশ নামের এক ব্যক্তি বলেন, হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে, তবে ভবনের ওপরের অংশ দেখে মনে হচ্ছে হাসপাতাল নিজেই অসুস্থ। যেকোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়ে ঠিক নেই। ফলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আছি। তবে হাসপাতালের এই করুণ দশা পূর্বে থেকে অনেকদিন ধরে, কিন্তু সংস্কারের বালাই নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, জরাজীর্ণ অবস্থা এবং পলেস্তারা খসে পড়ার কারণে আমরা জরুরি বিভাগের স্থান পরিবর্তন করেছি। সেখানে আগের মতো সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে যেকোনো সময় জরুরি বিভাগের সামনে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সবাইকে সাবধানে চলাচল করতে বলবো।
হাসপাতালের জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সংস্কার করা হবে নিশ্চয়। তবে কবে সংস্কার কাজ শুরু হবে তা বলতে পারছি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন