কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে জামাতা ইসমাইল ও তার বন্ধ নূরে আলমকে ডাকাত বলে জনতার গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনার চারদিন পর কুমিল্লার আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত নূরে আলমের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এই মামলাটি দায়ের করেন। অপর দিকে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মামলার বাদী পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ জামাল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুমিল্লার ৮নং (মুরাদনগর) আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে মুরাদনগর থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দিয়েছেন। অপর দিকে সকালে নিহত নূরে আলমের নিজ গ্রাম উপজেলার কাজিয়াতলের মিনি কক্সবাজার এলাকার কাজিয়াতল-কৃষ্ণপুর সড়কে মানববন্ধ করে দারোরা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগন। মানববন্ধ ও বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন নূরে আলমের মা জাহানারা বেগম, স্ত্রীর বোন ইয়াসমিন আক্তার, চাচা রমিজ মিয়া, সালেহা বেগম, রেজিয়া বেগম, আলামিন রানা, সহিদ মিয়া, বিল্লাল, বাবুল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার পালাসুতা গ্রামের নিহত ইসমাইল হোসেনের পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার আপন চাচা সিরাজুল ইসলাম শেখ সাহেব এবং প্রতিবেশী মাদক কারবারি আলাউদ্দিন আলার সাথে ইসমাইলের পরিবারদের বসবাসরত বাড়িটি প্রতিবান্ধবকতা তৈরী হওয়ায় পরিকল্পতিভাবে ডাকাত সন্দেহের ঘটনা সাজিয়ে এই হত্যা করা হয়েছে এবং ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে নৃশংস খুনের শিকার নুরে আলম ও ইসমাইলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন