অবশেষে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হচ্ছে বহু প্রতিক্ষীত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা জেনারেল হাসপাতালের। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর উদ্বোধন হচ্ছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা জেনারেল হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল ভবন। এ ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর হস্তান্তরও করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ বছর আগে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এ ভবনে পুরোপুরি চালু করা যায়নি স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম। এতে অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি কোটি কোটি টাকার সম্পদ। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। নতুন ভবনের আসবাবপত্র না আসা ও জনবল সংকটসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে এ ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ দৈনিক ইনকিলাব সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হচ্ছে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল এ ভবন।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ লোকমান হাকিম বুধবার সকালে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বরিশাল সার্কিট হাউসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল এ ভবন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। একই সময়ে ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামানসহ গন্যমান্য ব্যক্তি ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন।
উল্লেখ্য, সদর হাসপাতালের প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। ৯ তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটিতে বর্তমানে ৭ তলা নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভোলা জেনারেল হাসপাতালের নতুন আধুনিক ভবনটির প্রথম ফ্লোরে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, ইমার্জেন্সি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। দ্বিতীয় ফ্লোরে ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও ডাক্তারদের জন্য রুম রয়েছ ১৪ টি। তৃতীয় তলায় রয়েছে ৪টি অপারেশন থিয়েটার, অ্যাডমিন ব্লক ও ৬ বেডের আইসিইউ। চতুর্থ তলায় রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, ১২টি পোস্ট ওটি, ১৬টি লেবার রুম, রোগীদের ২৮ বেড ও কনফারেন্স রুম রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ফ্লোরে রোগীদের জন্য রয়েছে ১৪০টি বেড। আর সপ্তম তলায় হচ্ছে রোগীদের জন্য ২৮টি কেবিন। ক্যাম্পাসে ডাক্তারদের জন্য ৩ তলায় একটি ডরমিটরি ভবনের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মুসা জানান, ২০১৯ সালের ১ জুলাই ২৫০ শয্যার হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন