নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলধীন লেবুতলা ইউনিয়নের দাইড়ের গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. মোশাররফ হোসেনের একটি বসত ঘর (বিল্ডিং) যে কোনো সময় পাড় ভেঙে পুকুরের ভেতর ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করেন এলাকাবাসী। এই পুকুরের মালিক একই গ্রামের মৃত ইসমত আলীর ছেলে মতিউর রহমান। উক্ত ঘটনায় পুকুরের মালিক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মনোহরদী মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মোশারফের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়াধীন। মোশারফ, একজন হতদরিদ্র মানুষ, পেশায়, রং মিস্ত্রি, অন্যের বাড়িতে রংয়ের কাজ করে কোন রকমে সংসার চালায়, অনেক কষ্টার্জিত ও এনজিও টাকা ঋণ নিয়ে মাথা গোজার ঠাই হিসাবে এই বাড়িটি নির্মাণ করে, বর্তমানে সে অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরটিতে বসবাস করছে।
উক্ত এলাকার গ্রামবাসী ও ইউপি সদস্য মনজুরুল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায় যে মোশারফের ৪ বছরের বাচ্চা মুস্তাকিম পুকুরের পানিতে পরে ডুবে যায়। এই সময় শান্তি বেগম নামে এক প্রতিবেশী নারী দেখে চিৎকার দিলে বাচ্চাটি বাবা মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। অল্পের জন্য বাচ্চাটি প্রাণে বেঁচে যায়।
এ বিষয়ে পুকুর মালিক মো. মতিউর বলেন, আমি আমার নিজ জায়গায় পুকুর দিয়েছি, অন্য কারো সুবিধা-অসুবিধা দেখা আমার কোনো প্রয়োজন নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, মতিউর একজন খারাপ মানুষ। তার বিরুদ্ধে কথা বললে যেকোনো সময় আমাদের ক্ষতি পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন