নওগাঁর মহাদেবপুরে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও নগ্ন ছবি ধারণ, মাথার চুল কেটে দেয়া, জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে রাবেয়া বসরী মুক্তা (৩৭) বাদী হয়ে স্বামী, সতীন ও দুই দেবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী ওবায়েদ হোসেন হীরা, দুই দেবর জোবায়ের হোসেন মানিক, ওয়াহেদ হোসেন বাদশা ও শুক্রবার সকালে সতীন উম্মে হাবিবাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলা শহরের লাইব্রেরি পট্টি মধ্যবাজার এলাকায়। মামলা সূত্রে জানায়, ওই মহল্লার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ওবায়েদ হোসেন হীরা পারিবারিক কলহের জের ধরে তার প্রথম স্ত্রী রাবেয়া বসরী মুক্তাকে প্রায় দিনই মারপিট করতো। পারিবারিক ওইসব কলহের জের ধরে স্ত্রী মুক্তার সাথে ঘোষপাড়া এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দীন আকন্দের ছেলে এনামুল হক রাসেলের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন অভিযোগ তুলে স্বামী হীরা, সতিন উম্মে হাবিবা, দেবর মানিক ও বাদশা, মধ্যবাজার এলাকার মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সাগর, মৃত আইজুলের ছেলে মামুন হোসেন মিলে গত বুধবার রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শারিরিক নির্যাতন, মারপিট, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, মাথার চুল কেটে নেয়াসহ জোরপূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে ও চেকে স্বাক্ষর নেয়। সংবাদ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ গিয়ে রাবেয়া বসরী মুক্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাবেয়া বসরী মুক্তা স্বামীসহ উপরোক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে প্যানাল কোড ও পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী হীরা, দেবর মানিক ও বাদশাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, স্ত্রী মুক্তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার ঘটনায় স্বামী, সতীন ও দুই দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ভিডিও ধারণকৃত মোবাইলও উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের গত শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন