মেয়ে সুন্দর ও মেধাবী হওয়ায় উচ্চশিক্ষিত করে ভালো জায়গায় বিয়ে দেয়ার ইচ্ছা ছিল বাবা আব্দুল কুদ্দুছ খা। কিন্তু মেয়ে পারুল আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয় প্রতিবেশী মো. নাছির উদ্দিনের সঙ্গে। সেই বিয়ে মেনে নিতে না পারায় জামাইকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে খুন করে বাবা কুদ্দুছ। এমন অভিযোগে আবদুল কুদ্দুস খা ও তার বন্ধু মোকাদ্দেস মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।
তিনি জানান, সম্প্রতি গ্রেপ্তারের পর আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।
পিবিআই এর অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার জানান, ২০১২ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতির আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে পারুল আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয় প্রতিবেশী সাছির উদ্দিনের সঙ্গে। যা মেনে নিতে পারেননি পারুলের বাবা।
২০১৫ সালে নিজ মেয়েকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে এক বন্ধুর সহযোগিতায় হত্যা করে আবদুল কুদ্দুস। পরে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধেই হত্যা মামলা করেন আবদুল কুদ্দুস।
পিবিআই প্রধান জানায়, বিভিন্ন সংস্থার তদন্তে বাদি নারাজি দিলে গেলো বছরের নভেম্বরে আদালতের নির্দেশে গাজীপুরের আশুলিয়া থানায় আরেকটি মামলা করেন আবদুল কুদ্দুস।
মামলার তদন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে। আর সেই মামলায় তদন্ত শেষে মেয়ে হত্যার অভিযোগে আবদুল কুদ্দস এবং তার বন্ধু মোকাদ্দেস মন্ডলকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন