রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল বলেছেন- আলেম ওলামাদের সর্বোচ্চ সম্মান করতে হবে। ফরজ নামাজ ৫ ওয়াক্ত আদায় করতে হবে। মা-বাবার খেদমত করতে হবে। মুরুব্বিদের সম্মান করতে হবে। তাহলে সমাজে শান্তি বিরাজ করবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, অনেকেই মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন দিয়ে মসজিদ পরিস্কার করায়, এটি কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক, কাজটি মোটেও ঠিকনা। আলেমদের সম্মান না করলে গোটা জাতি ধংস হয়ে যাবে। কেননা আলেম-ওলামাগণ হচ্ছে নবীর (সা.) উত্তরসুরি।
গত শনিবার রাতে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান এয়াছিন্নগর চৌধুরী বটতল শাখার ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ফাতেহা ইয়াজদাহুম উপলক্ষে ২য়তম সুন্নী কনফারেন্স ও দাওয়াতুল খাইর মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য উপজেলা চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান এয়াছিন্নগর চৌধুরী বটতল শাখার উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মদ ইউসুফ (ফরিদ)-এর সভাপতিত্বে ও দাওয়াতুল খাইর সম্পাদক মো. জাফরের সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্বা শফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন কাটিরহাট মপিদুল ইসলাম ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেযভী। দাওয়াতুল খাইর মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা এম এ মতিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহছান হাবিব চৌ., প্যানেল চেয়ারম্যান তহিদুল আনোয়ার বাবুল। বিশেষ বক্তা ছিলেন হাফেজ মাওলানা হাবিবুল আযম, শায়ের মাওলানা ওসমান গণী কাদেরী। উপস্থিত ছিলেন শাখার সেক্রেটারী মো. সালাউদ্দিন, মো. হেলাল, মো. হারুন, মো. রায়হান, মো. আরমান, মো. মিনহাজ প্রমুখ।
প্রধান বক্তা আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেযভী বলেন, সুসম যাকাত বণ্টনের মাধ্যমে দারিদ্রতা দূর করা সম্ভব। এতে এগিয়ে আসতে হবে বিত্তবানদের। লোক দেখানো যাকাত বণ্টন সমাজ থেকে দূর করে মানুষের কল্যান হয় এমন যাকাত প্রদান করতে হবে। যাতে একজন দরিদ্র সাবলম্বি হয়ে সে যেন নিজেই যাকাত দিতে পারে। মিলাদ পরিবেশন করেন শায়ের মাওলানা ওসমান গণী কাদেরী। মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রেযভী (মা.জি.আ)। পরে সকলের মাঝে তাবরুক বিতরন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন