তীব্র শীতে গোটা চুয়াডাঙ্গা জেলার খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের শেষ নেই। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ পেটের ক্ষিদে মেটাতে প্রচন্ড শীতে খুব সকাল থেকেই তাদের কাজ শুরু করছে। চুয়াডাঙ্গায় সকালের পর থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্য প্রবাহের কারনে স্বাভাবিক কর্মজীবন হয়ে পড়েছে দুর্বিসহ। ঠান্ডা বাতাসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কর্মজীবী মানুষ। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, এ জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড থাকায় তীব্র শৈত্য প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। এর আগে এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ। গত প্রায় একমাসের অধিক এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশিরভাগ দিনই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকছে। দিনে তাপমাত্রা কমবেশি হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এর ফলে তীব্র শীতে জনজীবনে দূর্ভোগ বাড়ছে। প্রচন্ড শীতের কারনে সকাল থেকেই মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। এক মাসেরও অধিক বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় জেলার মানুষের কর্ম তৎপরতা কমে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন