শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রানীনগরে স্কুলে যাওয়ার পথ বিলীন হচ্ছে পুকুরে

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল হচ্ছে মিরাট গ্রাম। এই গ্রামে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আর একপাশে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়। এই দুই বিদ্যালয়ের যাতায়াতের জন্য মাঝে রয়েছে একটি রাস্তা। যে রাস্তা দিয়ে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা প্রতিনিয়তই চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঢালাই করা রাস্তাটি ভেঙে পুকুরগর্ভে বিলীন হলেও তা মেরামত করার প্রতি দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি নির্মাণ করার চারমাস পর যদি ভেঙে যায় তাহলে কি পরিমাণ নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিলো তা বোঝা যায়। প্রতিদিনই শিক্ষার্থীসহ শত শত গ্রামের বাসিন্দাদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে পায়ে হেটে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। এতে করে প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মিরাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, আনুমানিক দেড়বছর আগে এই রাস্তাটি তৈরি করে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ। পুকুরপাড়ে পালাসাইড না দিয়ে শুধুমাত্র কয়েকটি পিলারের সঙ্গে ইটের গাঁথুনির ওপর ঢালাই দিয়ে নির্মাণ করা হয় জনগুরুত্বপূর্ন এই রাস্তাটি। নির্মাণের প্রায় ৪ মাস পরই ইটের গাঁথুনি আর পিলার পুকুরগর্ভে ভেঙে যাওয়ার কারণে রাস্তাটির ৪ ভাগের ৩ ভাগই ভেঙে পুকুরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সামান্য একটু অংশের ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে চলাচল করতে গেলেই পা পিছলে পুকুরের মধ্যে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ইতিমধ্যেই স্কুলে চলাচল করার সময় শিশুসহ অনেক শিক্ষার্থী মনের অজান্তে পুকুরে পড়ে গিয়ে ঘটেছে দুর্ঘটনা। তাই অতিদ্রুত দীর্ঘস্থায়ীভাবে এই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, আমি এই উপজেলাতে নতুন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন