শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করে জাতিকে মুক্তি দিন

প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

স্বাধীন স্বার্বভৌম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বিতর্কিত পাঠ্যপুস্তক দিয়ে পাঠদান অব্যাহত থাকুক তা দেশের জনগণ চায় না। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করা পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশবাসী আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ : শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবির শীর্ষ ব্যক্তিরা অযোগ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়ে শিক্ষা খাতকে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গিয়ে গেছেন অভিযোগ করে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের বিতর্কিত মতবাদ, মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে হিন্দুত্ববাদ, হাজার হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, নগ্ন ও অশ্লীল ছবি যুক্ত করা এবং বাংলাদেশের কৃষ্টিকালচার বিরোধী বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের বিপদগামী করার চেষ্টা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে বিতর্কিত এই পাঠ্যপুস্তক দিয়ে পাঠদান অব্যাহত থাকুক তা দেশের জনগণ চায় না। এ পরিস্থিতিতে বিতর্ক সৃষ্টি করা পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দেশবাসী আশা করে সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, কে বা কারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে ভারতের বিজেপিপন্থি লেখকদের দাবি করা তথ্য পাঠ্য বইয়ে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন, তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ্য বইয়ের ১১তম অধ্যায়ের ‘মানব শরীর’ শিরোনাম অংশে কিশোর-কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকালে তাদের শরীরের নানা অঙ্গের যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে প্রকাশ্যে তা পড়ার উপযোগী নয়। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক কিংবা বাসাবাড়িতে অভিভাবকদের সামনেও এই বর্ণনা প্রকাশ করার মতো নয়। বইয়ের ১১৯ থেকে ১২২ পৃষ্ঠায় কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধি অধ্যায় যেভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তা চটি বইয়ের রগরগে রসালো রীতিমতো গল্পকে হার মানাবে। বইটির ১২০ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শারীরিক পরিবর্তনের বিশদ বর্ণনা দেয়া হয়েছে। যা’ আপত্তিকর।

আহলে সুন্নতওয়াল জামায়াত ঐক্য পরিষদ : নাস্তিক্যবাদীরা বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষী বিতর্কিত পাঠ্যসূচি বাতিল করে এর সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাঠ্য পুস্তকে নাস্তিক্যবাদী মতবাদ ও মিথ্যা ইতিহাস লিপিবদ্ব করার পরিপেক্ষিতে কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীরা পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। যে সকল ব্যক্তিবর্গ বুদ্ধিজীবী দাবি করে পাঠ্যপুস্তকে ডারউইনের মতবাদ অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে পুস্তক তুলে দিচ্ছে,তারা বুদ্ধিজীবীর নামের কলঙ্ক। এরা দেশ-জাতি ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রæ। এদের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে।

পবিত্র কোরআন হাদিসের ইতিহাস সম্বলিত কারিকুলাম দিয়ে পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আহল সুন্নতওয়াল জামায়াত ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবদুল জলিল একযুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকল পয়গম্বরগণ আল্লাহকেন্দ্রিক জীবন পরিচালনার দাওয়াত দিয়ে আসতেন, সকল নবীর উম্মতরা যখনই নবুওতের দাওয়াত পরিহার করে নিজেদের মনগড়া তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে নফসের আম্মারার পাগলাঘোড়ার তাঁবেদারিতে লিপ্ত হতো, তখনই নেমে আসতো রবের পক্ষ হতে গজব। তারই ধারাবাহিকতায় হযরত দাউদ (আঃ) এর উম্মতরা যখনই নবীর নির্দেশ অমান্য করে নিজেদের মতো করে অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে, তখনই ইহুদি মতবাদে বিশ্বাসী মানুষ নামীয় নরপিচাশগুলোকে বানরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন বিশ্বজাহানের মহান আল্লাহপাক। পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা বাকারার-৬৫ নং আয়াতে বানরের ইতিহাস বলতে গিয়ে আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্য যারা শনিবার সম্পর্কে সীমালঙ্ঘন করেছিল তাদের তোমরা নিশ্চিতভাবে জেনেছিল, ফলে আমি (আল্লাহ) তাদের বলেছিলাম তোমরা ঘৃণিত বানরে পরিণত হও। তারা নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচি বাতিল করে ইসলামভিত্তিক শিক্ষা চালুর দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন