শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ১৯ ফেব্রুয়ারি

ইসির তফসিল ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৪ এএম

দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, সিইসির কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে যতক্ষণ সময় লাগে। প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আগামী ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের। পরপর দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী তার আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ করতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হতে হলে সংসদ সদস্য হতে হয় না। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের একজন প্রেসিডেন্ট থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।’

যেহেতু জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, তাই ধরে নেওয়া হয় তারাই এই পদে প্রার্থী দেবে এবং সেই প্রার্থীই নির্বাচিত হবেন। যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরিচালনা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, যিনি এ নির্বাচনের ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা’। নির্বাচনী কর্মকর্তার কার্যালয়ের (প্রধান নির্বাচন কমিশনারের অফিসে নির্ধারিত দিনে অফিস চলাকালে) মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে।

২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রæয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। স্বাধীনতার পর থেকে ২০ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচনী কর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে- নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবে ইসি।

সিইসি জানান, একাধিক প্রার্থী হলে ১৯ ফেব্রæয়ারি সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তা ভোটের আয়োজন করবেন। নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে নিজের সই দিয়ে তা জমা দেবেন সংসদ সদস্যরা। ভোটের দিন গ্যালারিসহ সংসদ কক্ষে প্রার্থী, ভোটার, ভোট নেওয়ায় সহায়তাকারী কর্মকর্তা ছাড়া সবার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনার প্রকাশ্যে ভোট গণনা করবেন। সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফল নির্ধারণ করা হবে।

সংসদীয় গণতন্ত্র চালুর পর ১৯৯১ সালে একাধিক প্রার্থী হওয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একবার সংসদের কক্ষে ভোট করতে হয়েছিল। পরে প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
এদিকে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রকল্প স্থগিত হলেও তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। বিদ্যমান কার্যকর ইভিএম দিয়ে কত আসনে ভোট করা যাবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন