নিজের সন্তান পরিচয়ে দুই শিশুকে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে দুই নারীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পাচারকারীদের কবল থেকে ভুক্তভোগী দুই কিশোর-কিশোরীকে উদ্ধার করে গতরাতে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কিশোরের বয়স ১৬ ও কিশোরীর ১৩ বছর।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মা পরিচয় দেওয়া শাহীন আক্তার (৫৫), তার মেয়ে তাসনুভা জেরিন (৩০) ও মেয়ের বন্ধু মোহাম্মাদ তুষার (২১)।
আজ সকালে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক মিঞা জানান। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আটক করে।
ওসি আজিজুল হক মিঞা আরো জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তারা মালয়েশিয়ার যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আসেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর থেকে তাদের তিনজনকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটককৃতদের বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করেন। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ-খবর নিয়ে ওই শিশুদের দুটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তবে, তাদের পরিচয় নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে, তদন্তের পর বলা যাবে তারা রোহিঙ্গা কি না।
পুলিশ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ জানান, দুই কিশোর- কিশোরীরই নিজের প্রকৃত নাম বদলে গ্রেফতার শাহীন আক্তার ও ফিরোজ হোসেনের সন্তান হিসেবে তুষার হোসেন ও তানিশা হোসাইন নামে পাসপোর্ট বহন করছিল।
গতরাতে ভুক্তভোগীদের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি রোহিঙ্গা হয়ে থাকে, তাহলে তাদের ক্যাম্পে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর না হলে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহের সহযোগিতা করে তারা অপরাধ করেছে। পুলিশ মামা পরিচয় দেওয়া লালুকেও খোঁজছে।
এঘটনায় লালু মিয়াসহ চার জনকে আসামী করে বিমানবন্দর থানায় গতকাল মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলা নং ৩৭। এদের মধ্যে লালু মিয়া পলাতক রয়েছে।আটককৃত তিন আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন