নাটোরের গুরুদাসপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া নাটোরের লালপুরে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির লাশ ও গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনÑ
গুরুদাসপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের গুরুদাসপুরের একটি রাস্তার ধার থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধারকৃত যুবক বগুড়ার কাহালু উপজেলার আবু জাফরের ছেলে আবু সাইদ (৪০)। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দড়িকাছিকাটা এলাকার (বনপাড়া-হাটিকুমরুল) মহাসড়কের পাশের রাস্তার ধার থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন। স্থানীয়রা জানান, কাছিকাটা মোড়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ভারসাম্যহীন মানুষরা আসে। এই ব্যক্তিকে কয়েকদিন ধরে কাছিকাটা এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন তারা। সকালে রাস্তার ধারে মৃত অবস্থায় দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
ওসি আব্দুল মতিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সদস্যরা কাজ করছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের লালপুরে পুকুরের পানি থেকে আবুল কালাম (৫০) ওরফে বোমা কালাম নামের এক জনের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। নিহত আবুল কালাম মৃত ইনছার মন্ডলের ছেলে। এঘটনায় লালপুর থানায় নিহতের ছোট ভাই হত্যা মামলা দায়ের করলে আল আমিন (১৬) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। অন্যরা পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বাদকয়া এলাকায় ঘটে।
জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিলে বড়বাদকয়া এলাকায় আরজিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকতো। কিছুদিন ধরে তাদের পরিবারিক কলহ চলছিলো। তারই জের ধরে গত রাতে স্ত্রী আরজিনা খাতুন ও তার আগের পক্ষের সন্তান আল আমিনসহ আরো কয়েকজন মিলে আবুল কালামকে হত্যা করে। পরে বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরের পানিতে কালামের লাশ ফেলে রেখে যায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
লালপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামন জানান, খবর পেয়ে নিহতরে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। এঘটনায় নিহতরে ভাই সহিদুজ্জামান চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে আল আমিন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। সে নিহত আবুল কালামের স্ত্রী আরজিনা খাতুনের প্রথম পক্ষের ছেলে। বাকি আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সুরুত আলী (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যা পর লাশ সড়কের ধারে ফেলে রেখে গেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার সকালে লাশ উপজেলা সদরের দক্ষিণ সাহাপাড়ার ডা. উপেন্দ্র নাথ সাহার বাড়ির সামনের সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সুরুত আলী উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরাণ লক্ষীপুর (দ্বীপ) গ্রামের মৃত. খয়বর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে সাদুল্লাপুর বাজার যাওয়ার জন্য নগদ কিছু টাকা সঙ্গে নিয়ে বের হন। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি।
নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, ওই রাতেই তারা বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করে তার কোন সন্ধান পাননি। পরে শনিবার সকালে বাঁধের রাস্তা দিয়ে লোকজন যাতায়াতের সময় দেখতে পায় (রফিকুল ইসলাম) বাবার গলা কাটা লাশ বাড়ির অদুরে ওই এলাকায় পরে আছে। সাদুল্লাপুর থানার এসআই ইমরান খান জানান, নিহতের গলাকাটা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত করিম জানান, লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন