হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৭০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। চলতি বছর থেকে এ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় হয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া গত বছর ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। চলতি বছর তা ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৭ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বিমান।
তবে প্রস্তাবিত ভাড়া অযৌক্তিক এবং সংশোধনের দাবি করেছে হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।
বিমানের দাবি, গত বছর হজ মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়েছে। ফলে আগের ভাড়ায় হজ ফ্লাইট পরিচালনা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সউদী আরবে পাঠানোর জন্য একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব প্যাকেজ অনুমোদন করার রেওয়াজ থাকলেও নতুন হজ আইনের কারণে তা আর মন্ত্রিসভায় তোলা হয় না। হজসংক্রান্ত নির্বাহী কমিটি এসব প্যাকেজ অনুমোদন করে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাহী কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও হাবের নেতারা রয়েছেন। এ নির্বাহী কমিটির প্যাকেজের আলোকে এজেন্সিদের সংগঠন হাবও একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করে।
সউদী আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন হজ চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। চুক্তি হওয়ার পর এখন হজ প্যাকেজ ঘোষণার পালা। প্যাকেজ ঘোষণার অন্যতম উপাদান হলো বিমান ভাড়া। বিমান ভাড়া নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা একমত হতে পারছেন না।
গণমাধ্যমে হাব সভাপতি বলেন, ‘বিমান হয়তো এই ভাড়া প্রস্তাব করেছে। আলোচনার টেবিলে ভাড়া চূড়ান্ত হবে। হজযাত্রীরা মনে করেন বিমান বেশি ভাড়া নিচ্ছে, অন্যদিকে বিমান মনে করে তারা কম ভাড়া নিচ্ছে। এই সংকট নিরসন হতে পারে টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে। যেখানে অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি স্টেকহোল্ডাররা থাকবেন। ’
অন্যদিকে, বিমানের ভাড়া চূড়ান্ত হলে প্যাকেজের খসড়া চূড়ান্ত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বিমান ভাড়া ছাড়া প্যাকেজের অন্যান্য উপাদান প্রায় সবই চূড়ান্ত হয়েছে। এখন বিমান ভাড়া চূড়ান্ত হওয়ার পালা।
এদিকে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডকে বাদ দেওয়া হয়েছে হজের অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রম থেকে। একই সঙ্গে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এক বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। গতকাল ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন